সাইফ-তাইবুরকে ছাপিয়ে মোহামেডানের নায়ক অঙ্কন-মাহমুদউল্লাহ

পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ খেলতে নেমেছে মোহামেডান। আবাহনীর সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধানে অনেকখানি পিছিয়ে তারা। সুপার লিগে সবগুলো ম্যাচ জিতলেও ঢাকা লিগের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নেই ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটির। তবে এই মুহূর্তে ক্লাবটির লক্ষ্য রানার্সআপ হওয়া। সেই লক্ষ্যে সোমবার শেখ জামালের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মোহামেডান। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহর দারুণ ইনিংসে ভর করে মোহামেডান ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে। সেঞ্চুরিতে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন অঙ্কন। 

ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে শেখ জামাল ২৫৯ রান করে। ২৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে মোহামেডান। ভালো শুরুর পরও ইমরুল কায়েস (১৫), রনি তালুকদার (৪৪) ও রুয়েল মিয়া (৮) টিকতে পারেননি। তবে চতুর্থ উইকেটে অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহ মিলে ১৭৯ রানের জুটি গড়েন। গত কয়েক ম্যাচ ধরে রান পাচ্ছিলেন না অঙ্কন, সোমবার পেলেন সেঞ্চুরি। অঙ্কন যখন আউট হন তখন জয় থেকে ১২ রান দূরে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

১২২ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ১০১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন অঙ্কন। তিনি আউটের পর মেহেদী হাসান মিরাজও ২ রান করে বিদায় নেন। তবে এদিন দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করেছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। ২ বল আগে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ৮৮ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটার।

শেখ জামালের বোলারদের মধ্যে রিপন মন্ডল দুটি এবং শফিকুল ইসলাম, তাইবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৭ রানে দুই উইকেট হারায় শেখ জামাল। পরে মোহামেডানের কোনও বোলার শেখ জামালের উইকেট নিতে পারেননি।  সাইফ হাসান ও তাইবুর রহমান মিলে তৃতীয় উইকেটে ২১৮ রানের জুটি গড়েন। তীব্র গরমে ১২০ রানের ইনিংস খেলে স্বেচ্ছায় অবসরে যান সাইফ। ১৪৬ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। সাইফ ফেরার পর তাইবুরও সেঞ্চুরির দেখা পান। খেলেন ১০২ রানের ইনিংস। ১১৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান এই ব্যাটার। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতেই শেখ জামাল ২ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান সংগ্রহ করে। 

শেখ জামালের হারানো দুই উইকেটের মধ্যে নাসুম একটি নেন। বাকি উইকেট পড়েছে রান আউটে।

/আরআই/এফএইচএম/