Cyber crime: রঙের কোম্পানির ডিলারশিপ পেতে গিয়ে সাইবার প্রতারণার শিকার মাফিয়া ডনের ছেলে

সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত মাফিয়া ডন ব্রিজেশ সিংয়ের ছেলে। একটি নামি রঙের কোম্পানির ডিলারশিপ দেওয়ার নাম করে ব্রিজেশের ছেলে সিদ্ধার্থ সিং প্রায় ১১ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি সাইবার থানায় প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুনঃ মেয়ে বলে কলকাতার ছেলেকে ফোন, তুলে নেয় নগ্ন ভিডিয়ো, ৩৬ লাখের প্রতারণা, ধৃত যুবক

সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ আধিকারিক বিজয় নারায়ণ মিশ্র জানিয়েছেন, অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির  ৪১৭, ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৮, ৪৭১ ধারা সহ আইটি আইনের ৬৬ডি ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সাইবার ক্রাইম সেল মামলার তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি নামি রঙের কোম্পানি ডিলারশিপ দেওয়ার নাম করে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেই বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছিল। তাতে অমিত সিঙ্গলি নামে একজনকে কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়। সেই বিজ্ঞাপন দেখে তাতে দেওয়া নম্বরে অমিত সিঙ্গলির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অমিত তাঁকে জানিয়েছিলেন, যে ডিলারশিপ পেতে গেলে তাঁকে আবেদন করতে হবে। এরজন্য একটি ব্যাঙ্কের মুম্বই শাখার অ্যাকাউন্টে ১১,১৪,৫৩৯ টাকা জমা দিতে হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। টাকা জমা দেওয়ার জন্য তিনি অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সিদ্ধার্থ সিংকে দিয়েছিলেন। সেই মতো তিনি গত ৯ মার্চ ওই পরিমাণ টাকা জমা দিয়েছিলেন। এরপর অমিতকে ফোন করে লেনদেন সম্পন্নের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরপর তাঁকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়।

এরপরেই ঘটে বিপত্তি। অমিতের সঙ্গে তিনি ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ফোনে অমিতের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি সিদ্ধার্থ। অমিতের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ ছিল। শেষ পর্যন্ত কোম্পানির মুম্বইয়ের অফিসে যান সিদ্ধার্থ। সেখানে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ওই কোম্পানির তরফে জানানো হয়, অমিত নামে কেউ তাদের সংস্থায় কাজ করে না। 

তাছাড়া, ডিলারশিপের জন্য কোনও বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়নি। এরপরেই তিনি প্রতারণার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে থানায় অভিযোগ জানান। প্রসঙ্গত, সিদ্ধার্থ হলেন ব্রিজেশ সিংয়ের ছেলে। ব্রিজেশ তাঁর প্রতিপক্ষ মাফিয়া গ্যাং মুখতার আনসারির গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। পরে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন।