Kolkata police commissioner: ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাতেই কলকাতার বহু থানা পরিদর্শন করলেন নগরপাল

ভোটের সময় কোনও রকমের অশান্তি বা অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য দাগি আসামিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। এর পাশাপাশি গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করারও নির্দেশ দিয়েছিল। তবে এ নিয়ে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় নির্বাচন কমিশন। এই অবস্থায় কলকাতা পুলিশ যাতে দ্রুত নির্দেশ কার্যকর করে সেই সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে নিজেই থানা পরিদর্শন করলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।

আরও পড়ুন : মিটিং–মিছিলের জন্য আলাদা জায়গার ভাবনা শহরে, বড় খবর দিলেন পুলিশ কমিশনার

লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে রাজ্যের তিনটি কেন্দ্রে। সেগুলি হল- আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি। কলকাতায় লোকসভা নির্বাচন হবে একেবারে শেষ দফায় অর্থাৎ ১ জুন। ফলে এক মাসের কিছু বেশি সময় বাকি রয়েছে কলকাতায়। তার আগে বিভিন্ন থানা ঘুরে ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন কলকাতার নগরপাল। লালবাজার সুত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ভোটের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে তিনটি থানা পরিদর্শন করেন তিনি। এগুলি হল বেনিয়াপুকুর, কড়েয়া এবং এন্টালি। 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ কতটা কার্যকর হয়েছে? তা থানাগুলির কাছে জানতে চেয়েছিলেন তিনি। বিশেষ করে কতজন অভিযুক্ত এখনও অধরা রয়েছে? জামিন অযোগ্য পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও কতজন জেলের বাইরে রয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কতজন দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে বা অধরা রয়েছে? সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান কলকাতা পুলিশের প্রধান।

এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর দেরিতে হওয়ার অভিযোগ উঠছে। সে ক্ষেত্রে কেন দেরি হচ্ছে? তা থানাগুলির কাছে জানতে চান নগরপাল। এছাড়াও দাগি আসামি বা দুষ্কৃতীরা ভোটের সময় যাতে কোনও অশান্তি পাকাতে না পারে তার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে তাদের কাছ থেকে মুচলেখা লেখানো হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চান কলকাতার পুলিশ কমিশনার। 

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ যাতে অক্ষরে অক্ষরে পালন হয় তা নিশ্চিত করতে নিজেই থানায় ঘোরেন বিনীত গোয়েল। উল্লেখ্য, এর আগের তিনি ডেপুটি কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। সে ক্ষেত্রে কমিশনের কাছে আইন-শৃঙ্খলা ভিত্তিক রিপোর্ট দ্রুত পাঠানোর জন্য থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি, পুলিশ কমিশনার শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এবং প্রবেশের রাস্তাগুলিতে নাকা তল্লাশি বাড়ানোর উপরে জোর দিয়েছেন।