হুঙ্কারে কেঁপে উঠল আলিপুর, বিশাখাপত্তনম থেকে চিড়িয়াখানায় সাদা বাঘ আসল

আজ, শুক্রবার তীব্র গর্জনে কেঁপে উঠল আলিপুর। এই দুর্ধর্ষ গরমে এত জোরে হুঙ্কার কার?‌ সবার মনেই প্রশ্ন জাগে। পরে জানা যায় ওই হুঙ্কার দক্ষিণরায়ের। চেহারা বেশ বড়। বাঘের চোখ তখন রাগে ফেটে পড়ছে। যাতায়াত করতে গিয়ে গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে সে। কিন্তু মেজাজেই আছে। মেজাজ এক ফোঁটাও কমেনি। তাই দু’‌বার যা হুঙ্কার ছাড়ল তাতে পিলে চমকে গিয়েছে অনেকের। এখন কলকাতার আবহাওয়ায় খানিকটা মানিয়ে নেওয়ার জন্য আলাদা রাখা হচ্ছে। এখন এই সাদা বাঘকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় গেলে দেখতে পাওয়া যাবে।

এদিকে মঙ্গলবার মাঝরাতে একটা ঘটনা ঘটে। যা তখন সেভাবে কেউ জানতে পারেনি। আলিপুর চিড়িয়াখানার গেট দিয়ে সেদিন ঢুকেছিল ছ’টি বড় সাইজের এসি গাড়ি। গ্রিন করিডর করে নিয়ে আসা হয়েছিল গাড়িগুলিকে। আর গাড়ির পিছনের দরজা খুলতেই আত্মারাম খাঁচা হওয়ার জোগাড়। কারণ তখন দেখা গেল, লোহার খাঁচার ভিতর চকচক করছে দু’টি চোখ। গায়ের চামড়া সাদা। ডোরাকাটা দাগ। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আর মাংস দেওয়া হতেই মুহূর্তের মধ্যে সেগুলি সাবড়ে দিয়েছে। সেখানে পড়ে রয়েছে কিছু হাড়।

আরও পড়ুন:‌ বুথের সামনেই সুকান্তকে শুনতে হল ‘গো–ব্যাক’ স্লোগান‌, মেজাজ হারান বালুরঘাটের প্রার্থী

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিশেষ বিনিময় কর্মসূচির মাধ্যমে বিশাখাপত্তনমের ইন্দিরা গান্ধী জুলজিক্যাল পার্ক থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছে সাদা বাঘ। এই নিয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানায় সাদা বাঘের সংখ্যা দাঁড়াল দুই। এই বিষয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশের চিড়িয়াখানার মধ্যে জীবজন্তু বিনিময় কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাতে সাদা বাঘ এবং বেশ কিছু প্রাণী আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছে। একজোড়া করে লেমুড়, নেকড়ে, স্ট্রাইপড হায়না, কালো রাজহাঁস, পাঁচটি বন্য কুকুর এবং তিনটি হগ হরিণ আনা হয়েছে। আর কলকাতা থেকে বিশাখাপত্তনমে গিয়েছে দু’টি নর্দান জিরাফ, দু’টি স্কারলেট ম্যাকাও এবং চারটি ওয়াটার মনিটর লিজার্ড।’

এছাড়া এখন কলকাতায় মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়েছে। ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই এখানে নিয়ে আসা পশুদের বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে বলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর। এই আবহে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার সড়কপথে সবকটি প্রাণীকে নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে একটা ধকল তো আছেই। একজন চিকিৎসক–সহ আপৎকালীন ব্যবস্থা আছে। প্রাণীগুলিকে কয়েকদিন চিকিৎসকদের নজরদারিতে রাখা হবে কারণ দুই রাজ্যের পরিবেশ আলাদা। বাঘেদের খাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ খাদ্যতালিকা। এবার চিড়িয়াখানায় টিকিট কেটে ঢুকলে দেখা যাবে সাদা বাঘ।