Pak PM Shehbaz Sharif: ‘বাংলাদেশকে দেখলে লজ্জা পাই’, বলছেন আর্থিক সঙ্কটে বেহাল পাক প্রধানমন্ত্রী

সাম্প্রতিক সময়ে চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, এক সময় পাকিস্তানের অংশ থাকা বাংলাদেশ এখন উন্নতি লাভ করেছে। যা দেখে ‘লজ্জিত’ খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ব্যবসায়ীদের নিয়ে আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের উন্নয়নের তুলনা টেনে এনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘এখন বাংলাদেশকে দেখলে লজ্জা লাগে।’

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি দখল ইউটিউবারের

কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা বেহাল। তারফলে নাজেহাল অবস্থা দেশটির আমজনতার। এই অবস্থায় কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব তা নিয়ে বুধবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি সম্মেলনে যোগ দেন দ্বিতীয় মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সেখানে তিনি দেশের আর্থিক সঙ্কট এবং বিধ্বস্ত অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

এদিনের সম্মেলনে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে পাক প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের জানান, যে দেশটি একসময় পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। একসময় পশ্চিম পাকিস্তানের বোঝা হিসাবে বিবেচিত হত। এখন পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা অনেকে ভালো। তিনি বলেন, ‘আমি যখন বেশ ছোট ছিলাম তখন আমাদের বলা হতো যে পূর্ব পাকিস্তান আমাদের কাঁধের বোঝা। আর আজ আপনারা সবাই দেখতে পাচ্ছেন সেই বোঝা কোথায় পৌঁছেছে। আমরা যখন তাদের দিকে তাকাই তখন আমরা লজ্জিত বোধ করি।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তানের থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। তারপরে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক উন্নতি হতে থাকে বাংলাদেশে। অনন্যা প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠলেও স্বাধীনতার পর পাকিস্তানে সঙ্গে সেরকম সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি বাংলাদেশের। 

এদিনের সভায় ভারতের প্রসঙ্গও উঠে আসে। পাক ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই চাইছিলেন ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে উঠুক। এই অবস্থায় এদিন পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের বিষয়ে আলোচনা শুরু করার আর্জি জানান ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য, আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে গেলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হবে।

আরিফ হাবিব গ্রুপের প্রধান আরিফ হাবিব এদিন প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে বলেন,  ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠলে তাদের দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনাদের আচরণ নিয়ে পাকিস্তানকে সরাসরি ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরেই পাক প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।