Coal: কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এল কালো সোনা, বাংলায় নতুন জায়গায় সন্ধান মিলল কয়লার

আসনসোল শহর থেকে কাছেই জায়গাটি। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে এই জায়গাটি। আর সেখান থেকেই উদ্ধার করা হল কয়লা। বলা ভালো সেখানে খোঁজ মিলেছে কয়লার। কীভাবে সেখানে কয়লার সন্ধান মিলল? 

সূত্রের খবর, আসলে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কুয়ো খোঁড়ার কাজ চালানো হচ্ছিল। মূলত গরম পড়লে আসানসোলে স্বাভাবিকভাবেই জলের সংকট দেখা দেয়। সেকারণেই সেখানে কুয়ো খোঁড়ার কাজ চলছিল। আর কুয়ো খুঁড়তে গিয়েই বেরিয়ে এল কয়লা। 

জল পাওয়ার জন্য় মাটি খোঁড়া হচ্ছিল। কিছুটা খোঁড়ার পরেই দেখা যায় মাটির নীচে থরে থরে সাজানো রয়েছে কয়লার স্তর। কলেজের অধ্যক্ষ অবশ্য় বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে দ্রুত সেই কুয়ো খোঁড়ার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোটা বিষয়টি পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক ও পুরসভার মেয়রকে জানানো হয়। 

সূত্রের খবর, প্রায় ২২ ফুট খোঁড়া হয়েছিল। তারপরই কয়লার সন্ধান মেলে। এরপরই অধ্যক্ষ জেলাশাসক ও আসানসোল পুরসভার মেয়রকে পুরো ঘটনা লিখিতভাবে জানিয়ে দেন। 

আসলে কয়লা হল জাতীয় সম্পদ। সেক্ষেত্রে সেই কয়লা বিনা অনুমতিতে কোনওভাবেই সরানো যায় না। সেকারণেই দ্রুত কলেজের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয় উপরমহলে। 

সূত্রের খবর, জনস্বাস্থ্য় কারিগরি দফতরের লাইন থেকেই কলেজের হস্টেলে জল আসে। কিন্তু বর্তমানে জলের কিছুটা সমস্যা রয়েছে। এরপরই কুয়ো খোঁড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো কুয়ো খোঁড়ার কাজ শুরু হয়। কিন্তু কুয়ো থেকে জলের বদলে উঠে এল কয়লার স্তর। 

এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে এই এলাকায় কয়লা থাকলেও থাকতে পারে। তবে গোটাটা পরীক্ষা না করলে বলা সম্ভব নয়। 

এদিকে দেউচা পাঁচামিকে ঘিরেও নতুন করে স্বপ্ন বুনছে গোটা বাংলা। বীরভূমের মহম্মদবাজারে মাটির নীচে থরে থরে সাজানো আছে কালো সোনা। আর সেই কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রাথমিক প্রক্রিয়া হল জমি হস্তান্তর করা। প্রস্তাবিত কয়লাখনি গড়ার ক্ষেত্রে যে নোডাল এজেন্সি সেই পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমকে প্রথম ধাপের জমি হস্তান্তরে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।

সব মিলিয়ে তিনটি মৌজায় ৩৭ একরের মতো জায়গা হস্তান্তর করা হয়েছে। এই জমিতে খনি তৈরির জন্য কার্যালয়, পুনর্বাসন দেওয়ার মতো ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই এই দেউচা পাঁচামি এলাকায় কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে যাতে কোনওভাবেই কোনও জটিলতা তৈরি না হয় সেকারণে সবরকমভাবে সতর্ক হয়ে পা ফেলছে সরকার। কারণ বাম আমলে শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে সমস্য়ায় পড়েছিল সরকার। নন্দীগ্রামের ঝড় কার্যত উড়িয়ে দিয়েছিল বাম সরকারকে। তবে দেউচা পাঁচামির যে জায়গায় কয়লা উত্তোলনের জন্য আগে থেকেই ৪৩০ একর জায়গায় চিহ্নিত করা হয়েছিল।