JEE Main 2024 result: JEE Main-এ দুর্দান্ত ফল যমজ আরভ-আরুশের, দুজনের লক্ষ্য আইআইটিতে গণিত পড়া

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় (জেইই মেন) দুর্দান্ত ফলাফল করল যমজ ভাই। যার মধ্যে একজন ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়েছেন অন্যদিকে, আরেক ভাই পেয়েছেন ৯৯.৬৫। এই দুই ভাইয়ের নাম হল আরভ ভট এবং আরুশ ভট। ২০২৪ সালের জেইই মেনে ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়ে শীর্ষ স্থান অধিকার করে নিয়েছেন ৫৬ জন পরীক্ষার্থী। তারমধ্যে ৩ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন আরভ। 

আরও পড়ুন: JEE Main-এ ১০০ পেল ৫৬ জন! নেই বাংলার কেউ, IIT প্রবেশিকায় কাট-অফ ৫ বছরে সর্বোচ্চ

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিল মাসে দুটি সেশনে পরীক্ষাটি নেওয়া হয়। এই পরীক্ষার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ১১,৭৯,৫৬৯ জন পরীক্ষার্থী। তবে এর মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১০,৬৭, ৯৫৯ জন। এবারের স্কোর কার্ড অনুযায়ী, প্রথম স্থানে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের গজারের নীলকৃষ্ণ নির্মলকুমার। আরভ জানিয়েছেন, তিনি শুধু প্রথম সেশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এপ্রিলের সেশনে পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। 

তিনি জানান, তাঁর লক্ষ্য হল জেইই অ্যাডভান্সড। অন্যদিকে, আরুশ জানান, তিনি আরও কিছুটা নম্বর বেশি পাওয়ার আশা করেছিলেন। তবে তাঁরও লক্ষ্য হল জেইই অ্যাডভান্স ক্র্যাক করা। উল্লেখ্য, আগামী রবিবার থেকে যেই অ্যাডভান্সড পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এবার এই পরীক্ষায় কাট অফ মার্কস বেড়ে হয়েছে ৯৩. ২৩।

কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন যমজ ভাই?

এ বিষয়ে আরভ জানান, তারা একাদশ শ্রেণি থেকেই জেইই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। তারা নিয়মিত বিগত বছরের প্রশ্নপত্রগুলি অনুশীলন করার পাশাপাশি কোচিং ক্লাস করেছেন। আরভ এবং আরুশ দুজনের লক্ষ্য হল আইআইটিতে গণিত পড়া। আরভ গণিত এবং কম্পিউটিংয়ে একটি আসন নিশ্চিত করতে চান। আর আরুশ আইআইটি বম্বেতে গণিতে বিএসসি করতে চান।

প্রসঙ্গত, দুজনেই গুরুগ্রামের অ্যামিটি ইন্টারন্যাশনালের ছাত্র। তারা বিশ্বাস করেন নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা উচিত। স্কুলে ক্লাস শেষ করার পর তারা কোচিংয়ের জন্য চলে যেতেন। এরপর রাত্রি সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা মধ্যে বাড়ি পৌঁছতেন। নৈশভোজ সেরে তারা প্রতিদিন রাত্রি ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত পড়াশোনা করতেন। তারা জানিয়েছেন, এই সাফল্যের পিছনে তাদের বাবা-মায়ের বড় ভূমিকা রয়েছে। তার মা ঘুম থেকে ভোর ৪ টের সময় উঠে তাদের জন্য টিফিন তৈরি করে দিতেন। আর বাবা স্কুলে নামিয়ে দিতেন আবার কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি নিয়ে আসতেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এখনও পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না আরভ। তবে সিনিয়রদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একটি ফোন ব্যবহার করেন আরুশ।