Jharkhand wedding: বিয়েতে মটন কারি কম পড়ায় ক্যাটারিং সংস্থার কর্মীদের মার, পালাতে গিয়ে মৃত ১

খাবার কম পড়েছিল। তাই নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বিয়ে বাড়িতে। কনের পরিবার এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের হাতে আক্রান্ত হলেন ক্যাটারিং সংস্থার কর্মীরা। আর সেই ঘটনার জেরে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে গিয়ে কুয়োয় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল ক্যাটারিং সংস্থার এক কর্মীর। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলায়। মূলত মটনকারির অপ্রতুল সরবরাহ নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। এই ঘটনায় পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: বিয়েতে পছন্দের গান বাজানো নিয়ে বচসা, UP-তে কনের বাবাকে পিটিয়ে খুন করল শ্যালক

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাঁচি থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে হুপ্পু গ্রামে। সেখানে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেই বিয়ে বাড়িতে খাবার পরিবেশনের জন্য একটি ক্যাটারিং সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিল কনের পরিবার। বিয়ে উপলক্ষে স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর অতিথি উপস্থিত হয়েছিলেন অনুষ্ঠানে। রাত দেড়টা নাগাদ বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর অতিথিদের জন্য খাদ্য পরিবেশন করে ওই ক্যাটারিং সংস্থা।

বিয়েতে মটনকারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু, খাদ্য পরিবেশন করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি। আমন্ত্রিতদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হওয়ায় মটনকারি কম পড়ে যায়। তাই নিয়ে বিয়েতে উপস্থিত অতিথিদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কনের পরিবারকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাটারিং সংস্থার সঙ্গে কনের পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন অতিথির বচসা বাঁধে। 

গোলা থানার ইনচার্জ হরিপদ টুডু জানান, বিয়েতে আমন্ত্রিতদের মধ্যে মটন কারির খুব চাহিদা ছিল। সেই কারণে অনেকেই বেশি পরিমাণে মটন কারি খেয়ে ফেলেছিলেন। তবে কিছুক্ষণ পরে কৃষ্ণ কুমার নামে কনের পরিবারের সদস্যদের পরিচিত একজন ক্যাটারিং কর্মী জানান, মটন কারির জোগান শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে আর এই খাবার তারা দিতে পারবেন না। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথি এবং কনের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। 

এরপর ক্যাটারিং সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে তাদের বচসা বাঁধে। ঘটনায় তারা কর্মীদের মারধর করেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন ক্যাটারিং সংস্থার কর্মীরা। তখনই ঘটে বিপত্তি। পালাতে গিয়ে ওই কর্মী সেখানে অবস্থিত একটি কুয়োয় পড়ে যান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার তাঁর দেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনায় কনের বাবা সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যদিও ঘটনা এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।