Ramnavami: মুর্শিদাবাদে রামনবমীতে ‘বিক্ষিপ্ত অশান্তি’ হয়েছে, আদালতে রিপোর্ট দিয়ে দাবি রাজ্যের

মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির ঘটনায় রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মেনে আজ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে সিআইডি এবং পুলিশের তরফে আলাদা আলাদাভাবে রিপোর্ট জমা পড়ল। রিপোর্টে এদিন অশান্তির কথা স্বীকার করা হলেও বড়সড় কিছু ঘটেনি বলেই দাবি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদে রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হিংসা পরিকল্পিত, বিস্ফোরক দাবি মমতার

এদিন রাজ্য পুলিশের তরফে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেন। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কিছু কিছু এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বহরমপুরে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তার বাইরে বড় রকমের কোনও ঘটনা এখনও পর্যন্ত তদন্তে উঠে আসেনি। 

রাজ্যের রিপোর্ট দেখার পরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এনআইএ’কেও একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে কলকাতা হাই কোর্ট। সেক্ষেত্রে এনআইএ রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে যে এই বিষয়ে তদন্ত করা যাবে কিনা। আগামী ১০ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। আদালত এই সংক্রান্ত রিপোর্ট এনআইএ জমা দিতে বলেছে পরবর্তী শুনানিতে। তার ভিত্তিতে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্ট । উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন যেখানে মানুষ ৮ ঘণ্টা নিজেদের উৎসব  শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারছে না সেখানে ভোট পিছিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। এরপর তিনি মন্তব্য করেছিলেন, এর পিছনে কাদের প্ররোচনা রয়েছে তা জানা দরকার। তারপরে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জোড়া রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতায় হাইকোর্ট। একটি সিআইডিকে এবং অন্যটি মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারকে জমা দিতে বলেছিল।

প্রসঙ্গত, রামনবমীর দিন অশান্তি হতে পারে সে কথা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে বিরোধীরা পালটা তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন। তবে আশঙ্কার আঁচ পেতেই রামনবমীতে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নির্বাচন কমিশন থানাগুলিকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। 

তা সত্ত্বেও রামনবমীর দিন হিংসা এড়ানো যায়নি। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে।  রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শক্তিপুর থানা ও বেলডাঙা থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গা। শক্তিপুর থানা এলাকায় একদল দুষ্কৃতী রামনবমীর মিছিলে হামলা চালায়। 

অন্যদিকে, মানিক্যহারে দুষ্কৃতীরা বাড়ির ছাদ থেকে মিছিলে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এই সমস্ত ঘটনার জেরে ২০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন। তাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। কিন্তু, তাঁকে হাসপাতালে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।