কিশোরীর ফ্লাইট মিস হতে বাবাকেই ফোন করল Emirates! মুগ্ধ নেটপাড়া

সন্তানের সুরক্ষা প্রত্যেক বাবার একান্ত কাম্য। মেয়ে সন্তান বাড়ির বাইরে বেরোলে চিন্তার শেষ থাকে না বাবা মায়ের। এটি ছিল আবার একা একা বিমানে ভ্রমণের ব্যাপার। মেয়ের ফ্লাইট মিস হলে বাড়ির বড়দের চিন্তা হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই বিষয়টিই ভালো ভাবে বুঝেছিল এমিরেটস। তাই কিশোরীর ফ্লাইট মিস হতেই আগেভাগে তার বাবাকে ফোন করে দেওয়া হয়েছিল। কর্মীদের সঙ্গে কলের ওপারে দাঁড়িয়ে কথা বলে নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন পিতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তাঁর মনের ভাব।

 তাঁর এই আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এক্স প্ল্যাটফর্মে। সেখানে তিনি বলেছেন যে এয়ারলাইন্স তাঁকে ফোন করে জানিয়েছিল যে তাঁর মেয়ে দুবাই থেকে সংযোগকারী ফ্লাইট মিস করেছে। কিন্তু এর পরে মেয়েটির যত্ন নেওয়া হয়েছে, তার খেয়াল রাখা হচ্ছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পরবর্তী আসবে, ততক্ষণ তাকে রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব নিয়েছে এমিরেটস। বলা বাহুল্য, নিজের কিশোরী কন্যার সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাবা এমিরেটস এয়ারলাইন্সের প্রশংসা করেছেন।

পুদুচেরিতে থাকেন মেয়ের বাবা মনীশ কালঘাটগি। তিনি আরও শেয়ার করেছেন যে তাঁর ১৫ বছর বয়সী মেয়ের কাসাব্লাঙ্কা থেকে চেন্নাইতে একা একা আসার কথা ছিল, কিন্তু সে দুবাইতে তার সংযোগকারী ফ্লাইট মিস করেছিল। কালঘাটগি এক্স- এ শেয়ার করেছেন, এয়ারলাইন্সটি খুবই ভালো পরিষেবা দিয়েছে। ফ্লাইট মিস করার জন্য, তাঁর মেয়ের সঙ্গে কথা বলে, পরবর্তী ফ্লাইটের সময় বুঝিয়ে তাকে বিশ্রাম করার জন্য একটি ট্রানজিট হোটেল রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কারণ পরের দিন রাত ২ টোয় ছিল পরবর্তী ফ্লাইট। ততক্ষণ অবধি তাঁর মেয়ের খেয়াল রাখা হয়েছে।

এছাড়াও এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ মেয়েটির বাবাকে তার থাকার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। সে নিরাপদ রয়েছে এবং তার যত্ন নেওয়া হয়েছে, এই সমস্তটা জানানো হয়েছে। বাবার কথায়, যিনি ফোন করেছিলেন, তাঁর স্বভাব ছিল অত্যন্ত নম্র, ভদ্র। প্রায় ভোর ৪ টের সময় ঘুম উঠে আচমকা সবটা শুনে একটুও বিচলিত হতে হয়নি মেয়ের বাবাকে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে পর্যন্তই পর্যাপ্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে নিন্দার মুখে পড়েছিল এমিরেটস। এ প্রসঙ্গেও কথা বলতে গিয়ে কালঘাটকি বলেছেন, যেভাবে মাত্র কয়েকদিন আগে DXB-এ @emirates-এর পুরো অপারেশনগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে দাঁড়িয়ে এদিনের অভিজ্ঞতা ছিল দুর্দান্ত। এরপরেই এমিরেটসকে শুভ কামনাও জানিয়েছেন তিনি।

নেটিজেনরাও এয়ারলাইন্সের কাজে খুশি। বাবার সঙ্গে প্রশংসা করেছেন তাঁরাও। একজন লিখেছেন, হ্যাটস অফ টু এমিরেটস।