Congress on VVPAT: অধিক VVPAT ব্যবহারের জন্য রাজনৈতিক সংগ্রাম চলবে, সুপ্রিম রায় EC-র পক্ষে যাওয়ার পর বার্তা কংগ্রেসের

নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় মানুষের আস্থা ধরে রাখতে ভিভিপ্যাটের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারের পক্ষে রাজনৈতিক প্রচার চালিয়ে যাবে কংগ্রেস। দ্বিতীয় দফার ভোট পর্বের পর শুক্রবার একথা বলেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ। কিছুদিন আগে ইভিএমএর দ্বারা প্রদত্ত ভোটের সম্পূর্ণ পুর্নযাচাইয়ের আবেদন সংক্রান্ত মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলায় ইভিএমে পড়া ভোটের সঙ্গে ভিভিপ্যাট স্লিপে দেওয়া ভোটের ১০০ শতাংশ ভোট মিলিয়ে দেখা নিয়ে আবেদন করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্ক দত্তর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সেই মামলা খারিজ করে দেয়। তারপরই একথা বললেন জয়রাম রমেশ।

ভিভিপ্যাট মামলা নিয়ে মুখ খুলে জয়রাম রমেশ বলেন, এই মামলায় কংগ্রেস কোনও পক্ষেই সরাসরি বা পরোক্ষে ছিল না। শুক্রবার জয়রাম রমেশ এই ভিভিপ্যাট সংক্রান্ত মামলায় এক টুইট পোস্টে লেখেন, ‘আমরা দুই বিচারকের বেঞ্চের রায়কে নজরে রেখেছি। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের আস্থা বাড়ানোর জন্য ভিভিপ্যাট-এর আরও ব্যবহারের বিষয়ে আমাদের রাজনৈতিক প্রচার অব্যাহত থাকবে।’ এছাড়াও, এই ভিভিপ্যাট মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যকেও পাল্টা জবাব দেন রমেশ। পাল্টা জয়রাম রমেশ বলেন, ইলেকটোরাল বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় বিজেপির ওপর কোর্টের তরফে ‘জোড়ালো থাপ্পড়’। 

( Ujjwal Nikam In BJP: কাসাভের মামলায় দিইয়ে ছেড়েছিলেন ফাঁসির সাজা! আইনজীবী উজ্জ্বল নিকমকে টিকিট বিজেপির, কোন কেন্দ্রে?)

রমেশ তাঁর এক্স পোস্টে লেখেন, ‘ মনে রাখবেন যে কয়েক সপ্তাহ আগে সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে একটি কড়া থাপ্পড় দিয়েছিল – প্রকৃতপক্ষে, একটি থাপ্পড় … দুর্নীতি-আক্রান্ত নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে কেবল বেআইনিই নয়, অসাংবিধানিক ঘোষণা করে।’ শুক্রবারের পোস্টে জয়রাম রমেশ বলেন, ‘যে ৪ রাস্তা প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন গত পাঁচ বছরে, ৮২০০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীরই জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’ জয়রাম রমেশের দাবি, এই চার রাস্তা হল, ‘চাঁদা দাও ব্যবসা নাও,’’ঠেকা নাও ঘুষ দাও’, ‘সাপ্তাহিক তোলাবাজি’,’ভুয়ো সংস্থা’। সদ্য সুপ্রিম কোর্টে ভিভিপ্যাট যাচাইয়ের আবেদন খারিজ হয়েছে।নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সায় দিয়ে কোর্ট ইভিএমকেই ক্লিনচিট দিয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার দেশজুড়ে দ্বিতীয় দফা ভোটের মাজেই এই হাইপ্রোফাইল মামলার রায় আসে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ভোটগ্রহণ ইভিএমএই হবে। ৪৫ দিন পর্যন্ত ভিভিপ্যাটের স্লিপ সুরক্ষিত রাখতে হবে। কোর্ট সাফ জানিয়েছে, প্রার্থীর স্বাক্ষর নিয়ে ওই স্লিপ সুরক্ষিত রাখতে হবে। ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের ১০০ শতাংশ মেলানোর প্রয়োজন নেই বলে কোর্ট জানিয়েছে।