Poster against TMC councilor:উত্তর কলকাতায় TMC কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পোস্টার, কর্মীদেরই কাজ, দাবি নেত্রীর

লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই ফের উত্তর কলকাতায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মানিকতলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কাউন্সিলের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল। সেখানকার কাউন্সিলর মীনাক্ষী গুপ্তর বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার পড়েছে। আর এই ঘটনায় উঠে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। তৃণমূল কাউন্সিলর খোদ দলের অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই পোস্টারিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন। ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। 

আরও পড়ুন: কুণালের মুন্সিয়ানায় মান ভাঙল মোনালিসার, ভোটের দায়িত্ব পেয়েই অনশন প্রত্যাহার

মানিকতলা বাজার কলকাতা পুরসভা ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। সেখানকার কাউন্সিলর হলেন মীনাক্ষী গুপ্ত। এটি কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রয়েছেন সুদীপ বন্দোপাধ্যায়। ভোট এগিয়ে আসতেই এই লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দলের অস্বস্তি বেড়েছে। এবার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসক দলকে। 

পোস্টারে লেখা রয়েছে, প্রোমোটারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কাউন্সিলরের। আর এই পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই মীনাক্ষী দাবী করেছেন,  দলেরই কর্মীদের একাংশ এর সঙ্গে জড়িত। তিনি জানান, যারা তাঁর কাজে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না, যাদেরকে তিনি সমর্থন করছেন না তারাই রাতের অন্ধকারে এই ধরনের পোস্টার দিচ্ছে। বিরোধী হলে সেটা হয় রাজনৈতিক চক্রান্ত। কিন্তু, এটা দলের কর্মীদের কাজ। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘২৭ এর মানুষ আওয়াজ দিচ্ছে কাউন্সিলরের প্রোমোটার রাজ বন্ধ হোক।’আর এই সুযোগে বিজেপি নেতা  প্রার্থী তাপস রায় বলেন, কাউন্সিলরের সততা রয়েছে, যে তিনি বলেননি বিজেপি পোস্টার দিয়েছে। তৃণমূলের এরকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সব ওয়ার্ডেই চলছে।

আরও পড়ুন: উত্তর কলকাতায় তৃণমূলের কোন্দল চরমে, সুদীপের দুয়ারে সত্যাগ্রহ জারি মোনালিসার

উল্লেখ্য, এর আগে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। দলের কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করতে পারছেন না এমনই অভিযোগ তুলে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে বসেছিলেন মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দু’দিন ধরে একই জায়গায় সত্যাগ্রহ চালিয়ে যান তিনি। উত্তর কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারেই তিনি সত্যাগ্রহ চালান। দলের প্রভাবশালী অংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। আর এবার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই অভিযোগ উঠল।