Rahul Gandhi on Prajwal Revanna row: ‘সবকিছু জানার পরেও মোদী কেন চুপ’ প্রজ্জ্বলের যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে বিঁধলেন রাহুল

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার পৌত্র তথা বহিষ্কৃত জেডিএস নেতা প্রজ্জ্বল রেভান্নার যৌন কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসতেই হৈচৈ পড়ে গিয়েছে গোটা দেশের রাজনীতিতে। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই ময়দানে নেমেছে কংগ্রেস থেকে শুরু করে অন্যান্য বিরোধীরা। এবার এই কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তীব্র সমালোচনা করলেন নেতা রাহুল গান্ধী। কর্ণাটকে মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত এত বড় জঘন্য অপরাধের পরেও প্রধানমন্ত্রী মোদী নীরবতা পালন করেছেন বলে আক্রমণ করেছেন রাহুল। পাশাপাশি, মোদীর রাজনৈতিক পরিবারের অংশ হওয়া কি অপরাধীদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল।

আরও পড়ুনঃ সেক্স ভিডিয়োতে অভিযুক্ত এমপি রেভান্নাকে সাসপেন্ড করল জেডিএস, ‘ভাইপোকে রেয়াত নয়’

যৌন কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পরেই বাড়ির পরিচারিকার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রজ্জ্বল রেভান্না এবং তার বাবা এইচডি রেভান্নার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোর মামলা দায়ের করেছে কর্ণাটক পুলিশ। প্রসঙ্গত, প্রজ্জ্বলের সঙ্গে বিভিন্ন সভায় প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার কিছুদিন আগেই প্রজ্জ্বলের হয়ে প্রধানমন্ত্রী ভোট প্রচার করেছেন বলে দাবি বিরোধীদের।

রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদী বরাবরের মতো কর্ণাটকে নারীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত জঘন্য অপরাধের বিষয়ে লজ্জাজনকভাবে নীরবতা বজায় রেখেছেন। সব কিছু জানার পরও কেন শুধু ভোটের জন্য কয়েকশো মেয়েকে শোষণকারী শয়তানের হয়ে প্রচার করলেন? প্রধানমন্ত্রীকে তার জবাব দিতে হবে।’

রাহুল গান্ধী আরও লিখেছেন, ‘এত বড় অপরাধী এত সহজে দেশ থেকে কীভাবে পালিয়ে গেল? কায়সারগঞ্জ থেকে কর্ণাটক এবং উন্নাও থেকে উত্তরাখণ্ড মেয়েদের অপরাধীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নীরব সমর্থন দেশজুড়ে অপরাধীদের উৎসাহিত করছে।’ এরপরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘মোদীর রাজনৈতিক পরিবারের অংশ হওয়া কি অপরাধীদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি?’

প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে জেডিএসের সঙ্গে বিজেপির জোট রয়েছে। তবে প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে বিজেপি এবং জেডিএস।

অন্যাদিকে, কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকারের প্রশাসন হাসানের সাংসদ তথা জেডিএস থেকে সাসপেন্ড নেতা প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ‘সেক্স স্ক্যান্ডেল’ মামলায় ইতিমধ্যেই সিট গঠন করেছে। সিট-এর তরফে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয় রেভান্নাকে। এরপর বুধবার প্রজ্জ্বল রেভান্না ৭ দিন সময় চেয়েছেন।