WB recruitment sacm: হঠাৎ মৃত্যু SLST আন্দোলনকারীর, পরিবারের দাবি মানসিক চাপেই ব্রেইন স্ট্রোক

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হল SLST আন্দোলনের অন্যতম মুখ ইমরান হোসেনের। রবিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির বাড়িতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে SSC পরীক্ষার প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, চাকরি না পেয়ে মানসিক উদ্বেগে ভুগছিলেন ইমরান। তার জেরেই মৃত্যু।

আরও পড়ুন: ভিডিয়ো ফেক, সন্দেশখালির স্টিং অপারেশনের CBI তদন্ত দাবি করল BJP, রেখা পাত্র বললেন

পড়তে থাকুন: অভিষেকের বিরুদ্ধে CBIএর কাছে অভিযোগ করেছেন গঙ্গাধর, যাবেন CBI দফতরেও: শুভেন্দু

মানসিক চাপে স্বপ্নের অপমৃত্যু

জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে নিজের বাড়িতেই অসুস্থ বোঝ করেন ইমরান। হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ইমরানের অদম্য ইচ্ছার ওপর ভরসা করে স্বচ্ছলতার মুখ দেখবে বলে স্বপ্ন দেখেছিল তার পরিবার। তাঁর মৃত্যুতে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রতিবেশীরা। ইমরানের মৃত্যুর খবরে বিধ্বস্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অন্যান্য চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীরাও।

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে ২০১৪ সালে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ইমরান। ২০১৬ সালে বিএড ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ওই বছর থেকেই কলকাতায় ঘর ভাড়া নিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি। সঙ্গে চলে SSC পরীক্ষার প্রস্তুতি। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কোনও SSC পরীক্ষাই হয়নি। ফলে ক্রমশ মানসিক চাপ বাড়ছিল ইমরানের ওপর।

বিষাদে সহযোদ্ধারা

ইমরানের সঙ্গে আন্দোলনে যোগদানকারী এক চাকরিপ্রার্থী জানিয়েছে, ও-ই প্রথম নতুন SLST পরীক্ষা নিতে হবে বলে আন্দোলনের মঞ্চ গড়ে তোলে। New SSC SLST একতা মঞ্চের চাপে সরকার নতুন পরীক্ষা নেবে বলে প্রতিশ্রুতিও দেয়। কিন্তু তার পর ২ বছর কাটলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি তারা।

আরও পড়ুন: চুপিসাড়ে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির অভিযোগ তুলে সরব শুভেন্দু, উড়িয়ে দিল WBSEDCL

নিহত ইমরানের পরিবারের এক সদস্য বলে, অপদার্থ, দুর্নীতিবাজ এই রাজ্য সরকার যুবকদের ভবিষ্যৎ ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। যুবকদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তারা চাকরি পাচ্ছে। পরীক্ষাই হচ্ছে না তো চাকরি পাবে কী করে? পরিবারের লোকেরা অসহায়ভাবে তাদের দিকে চেয়ে আছে। আর তারা গুমরে মরে যাচ্ছে। যে ভাবে চলে গেল ইমরান।