Fujian: যুদ্ধবিমান বহনকারী চিনের নয়া জাহাজের মহড়া, ভারতের উপর কতটা প্রভাব পড়তে পারে?

চিনের তৃতীয় বিমান বহনকারী জাহাজ ফুজিয়ান গত সপ্তাহেই সমুদ্রে নামানো হয়েছে। মার্কিন নৌবহরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে এটা একটা বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই নয়া জাহাজের নাম দেওয়া হয়েছে ফুজিয়ান প্রদেশের নাম করে। এটাকে চিনের দীর্ঘতম এয়ারক্রাফট কেরিয়ার বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। 

সাংহাইয়ের জিয়াংগনান শিপইয়ার্ড থেকে ছেড়েছে এই ফুজিয়ান।  জিনহুয়ার রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, এই মহড়া মূলত এই উড়োজাহাজ বহনকারী যে জাহাজ তার কর্মক্ষমতা সম্পর্কে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এর বৈদ্যুতিক সিস্টেমকেও পরখ করে দেখা হয়েছে। 

এই মহড়া প্রায় দু বছর ধরে করা হবে। আরও পাঁচ বছরের জন্য় এটা কার্যকরী করা হবে। 

এই ফুজিয়ান কেরিয়ার মনে করা হচ্ছে প্রায় ৭৯,০০০ টন ওজনের। এতে ফাইটার জেট বহন করা সম্ভব।

CATOBAR, STOBAR এই দুটি প্লাটফর্মের মাধ্য়মে যুদ্ধজাহাজ বহন করা সম্ভব। STOBAR হল শর্ট টেক অফ বেরিয়ার অ্য়াসিসটেড রিকভারি, এটা হল একটা Ramp টাইপের বিষয়। টেক অফের সময় একটি যুদ্ধ জাহাজকে এটা কার্যকরী করে। STOBAR এয়ারক্রাফটের টেকঅফের সময় ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করে। 

এদিকে ইন্ডিয়ান ওসান রিজিয়ন। এখানে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মানুষ চারপাশে বাস করেন। এই রিজিয়নেই রয়েছে ভারত। চিনের গ্লোবাল ট্রেড রুটে পড়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। গবেষক কে এম পানিক্কর জানিয়েছেন,ভারতের অবস্থানটা এমনই যে যেটা ভারত মহাসাগরের চরিত্রকে বদলে দিয়েছে। খবর এনডিটিভি সূত্রে। 

ওই প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন নেভি প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানিয়েছেন, আইএনএস বিক্রান্ত যেভাবে কাজ করছে তাতে আমরা খুশি। 

এদিকে ২০২২ সালে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছিল, তৃতীয়বারের জন্য এয়ারক্রাফট বহনকারী জলযানের সূচনা করেছিল চিন। সাংহাইতে ফুজিয়ান নামে এই বিশেষ এয়ারক্রাফট কেরিয়ারের উদ্বোধন করা হয়েছিল। স্টেট মিডিয়ার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, উপকূলীয় প্রদেশের নাম অনুসারে এই যানের নামকরণ করা হয়েছে। দেশের উদ্যোগে এই যানের ডিজাইন ও নির্মাণ করা হয়েছে। দূর সমুদ্রেও চিন এবার প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে। সেই পটভূমিকাতেই পথ চলা শুরু হয়ে গেল ফুজিয়ানের।  চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং কর্পোরেশনের জিয়াংজ্ঞান শিপইয়ার্ডে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান জু কুইলিয়াং এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সূত্রের খবর ফুজিয়ানের ডেক থেকে সরাসরি যুদ্ধবিমান উড়তে পারবে। এদিকে গত এপ্রিল মাসে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির নেভি চিনের এয়ারক্রাফট প্রোগ্রাম নিয়ে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল। সেখানেই জানানো হয়েছিল এই এয়ারক্রাফট কেরিয়ার দ্রুত চালু করা হবে।

ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্য়াটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্য়াশানাল স্টাডিজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বছরখানেক আগেই চিনের সামরিক ব্য়বস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল এই এয়ারক্রাফট কেরিয়ার। তবে এটির উদ্বোধন নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সামরিক ক্ষেত্রে চিনের আধুনিকীকরণ ও বিকাশের অন্য়তম প্রতীক এই এয়ারক্রাফট কেরিয়ার।