Pandua Blast: পাণ্ডুয়া বিস্ফোরণকে অরাজনৈতিক প্রমাণে মরিয়া পুলিশ, আহত কিশোরের মা-কেই গ্রেফতার

হুগলির পাণ্ডুয়ায় পুকুর পাড়ে বোমা বিস্ফোরণে ১ কিশোরের মৃত্যু আহত এক কিশোরের মাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, পরকীয়ার জেরে নিজের ছেলেকে খুন করতে বোমা রেখে এসেছিলেন ওই মহিলা। এই ঘটনাকে আগেই অরাজনৈতিক বলে দাবি করেছিল জেলা পুলিশ। এই মর্মে নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন: আমাদের আন্দোলন নিয়ে বলার উনি কে? গঙ্গাধরের বাড়িতে বিক্ষোভ সন্দেশখালির মহিলাদের

পড়তে থাকুন: অনুব্রত অতীত, বীরভূমে এবার পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে, দাবি দেবতনু ভট্টাচার্যর

সোমবার সকালে পাণ্ডুয়ার তিন্না নেতাজিপাড়ায় পুকুর পাড়ে খালের সময় বোমা ফেটে মৃত্যু হয় রাজ বিশ্বাস (১১) নামে এক কিশোরের। মামাবাড়িতে বেড়াতে এসে পড়শি বন্ধুদের সঙ্গে পুকুর পাড়ে খেলার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় আহত হয়েছে রূপম বল্লভ ও আরও এক কিশোর। রূপমের হাত উড়ে গিয়েছে। ভোটের মরশুমে সাত সকালে এই ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক রং নেয়। হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় সন্ত্রাস ছড়াতে তৃণমূল বোমা মজুত করেছিল বলে অভিযোগ করে অবস্থানে বসে পড়েন। NIA তদন্তের দাবি করেন তিনি। ওদিকে এই ঘটনায় জেলা পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন।

এর পর জোর কদমে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পাণ্ডুয়া থানা। তদন্তকারীদের দাবি, বিস্ফোরণের ঘটনার পিছনে আহত কিশোর রূপমের মা রীতার হাত রয়েছে। রূপমের বাবা সুখদেবের সঙ্গে রীতার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। দেবা সরকার নামে এলাকারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে বিয়ে করেছেন তিনি। তাঁদের দাম্পত্যে একমাত্র কাঁটা ছিল রূপম। রূপম ও সুখদেবকে খুন করতে চেয়েছিলেন তিনি। সেজন্য তিনিই দেবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুকুর পাড়ে বোমা রেখে আসেন। সুখদেব জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে রূপমের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় রীতাকে। তার পরই এই বিস্ফোরণ। সুখদেবের অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন রীতাকে জেরা করে পুলিশ। এর পর তাঁকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: অনুব্রত অতীত, বীরভূমে এবার পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে, দাবি দেবতনু ভট্টাচার্যর

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে রীতার পরিবার। তাদের দাবি, রীতার ওপর সুখদেব ও তার মা অত্যাচার করত। তাই সংসার ছাড়তে বাধ্য হয়েছে সে। ছেলেকে সে সঙ্গেই রাখতে চেয়েছিল। ছেলের সঙ্গে মায়ের সেদিন কী কথা হয়েছিল তা রূপমকে জিজ্ঞাসা করলেই জানা যাবে। গাত্রদাহ মেটাতে রীতাকে ফাঁসাচ্ছেন সুখদেব। আর পুলিশও বিষয়টি রীতাকে গ্রেফতার করে বিষয়টি অরাজনৈতিক প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে।