Governor CV Ananda Bose: মমতা আর পুলিশ ছাড়া বঙ্গবাসীকে রাজভবনের সিসি ফুটেজ দেবেন বোস, কীভাবে পাবেন এটা?

খোদ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠেছিল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এনিয়ে কঠোরতম ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। এবার রাজভবনের তরফ থেকে নয়া কর্মসূচি। কর্মসূচির নাম সাচ কে সামনে

সেই কর্মসূচিতে সামনে রেখে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সম্মানীয় রাজ্যপাল একটি প্রোগ্রামের সূচনা করবেন। সেটা হল সাচ কে সামনে। পুলিশ যে সাজানো অভিযোগ তুলেছিল তার বিরুদ্ধে।…রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিসি ফুটেজ  বাংলার যে কোনও জনগণ দেখতে পারবেন। কেবলমাত্র রাজনীতিবিদ মমতা আর পুলিশকে এটা দেওয়া হবে না। কারণ তারা যে অবস্থান নিয়েছেন। এটা পাবলিক ডোমেনে থাকবে। 

যারা এই পুরো সিসি ফুটেজ চান তাঁরা মেল করতে পারেন। 

[email protected] 

[email protected] 

এখানে মেল করতে পারেন। অথবা রাজভবনের পিপিএক্স ফোন করতে পারেন। সেই নম্বরটি হল PBX 033-22001641

প্রথম ১০০জন আবেদনকারী এই সিসি ফুটেজ দেখতে পাবেন। আপনিও প্রয়োজনে এখানে মেল করতে পারেন। মেল করলেই পেয়ে যাবেন রাজভবনের সিসি ফুটেজ। ৯ মে বেলা ১১টা ৩০ থেকে এর সময়সীমা চালু করা হচ্ছে। 

কার্যত যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠেছিল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এবার তা নিয়ে বিরাট পদক্ষেপ নিলেন রাজ্যপাল। রাজভবনের ভেতরে সেদিনের সিসি ফুটেজ জনতাকে দেবেন তিনি। কিন্তু রাজনীতিবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলিশকে এই ফুটেজ তিনি দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সব মিলিয়ে এবার সংঘাত যে একেবারে অন্য পর্যায়ে তার ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন রাজ্যপাল। 

এদিকে সূত্রের খবর, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা (সিট) হয়েছে। সেই তদন্তকারী দলের পক্ষ থেকে সিভিটিভি ফুটেজ চেয়ে রাজভবনের ওসির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

 প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ আনেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী কর্মী।তার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়। রাজভবনের তরফে এই অভিযোগকে অস্বীকার করা হয়েছে।

 সেই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল আগেই জানিয়েছেন, সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় যতদিন রাজ্যপাল আছেন, ততদিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ। আদালতও কোনওরকম ব্যবস্থা নিতে পারবে না। সংবিধানই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনওরকম তদন্ত চালানো বা এফআইআর দায়ের করা থেকে বিরত করেছে সংবিধান। পাশাপাশি রাজভবনের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে পুলিশি বার্তাকে যেন উপেক্ষা করা হয়।