Ayurvedic treatment: ওজন কমাতে চান? জিমে যাওয়ার সময় নেই? আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় নিমেষে কমিয়ে ফেলুন

শারীরিক সমস্যার অন্যতম একটি প্রধান কারণ হলো বাড়তি ওজন। বাড়তি ওজন যেমন আপনার শারীরিক সমস্যার কারণ, তেমন আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেওয়ার পেছনেও রয়েছে এই অতিরিক্ত ওজন। জিমে গিয়ে শরীর চর্চা করেও যদি আপনার এই সমস্যা না কমে তাহলে আপনার এই সমস্যা কমবে আয়ুর্বেদিক পন্থায়।

আজ থেকে কয়েক হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে একাধিক রোগের নিরাময় করা সম্ভব হয়েছে। এই চিকিৎসাটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে করা হয় বলে এতে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার প্রচলন সব থেকে বেশি দেখা যায় দক্ষিণ ভারতে।

(আরো পড়ুন: শুধুমাত্র মুখের হাসি দিয়ে করুন শরীর ও মনের এই সাতটি সমস্যার সমাধান)

পঞ্চকর্ম: পঞ্চকর্ম হলো পাঁচটি বিশুদ্ধ থেরাপি যার দ্বারা আপনার শরীরের সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যাবে এবং আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে। পঞ্চকর্ম বিপাক, রক্ত পরিশোধন, মানসিক অবসাদ কমানোর পাশাপাশি আপনাকে দেয় উজ্জ্বল ত্বক, স্বাস্থ্যকর চুল এবং শান্ত মন।

পাউডার ম্যাসাজ: জোজোবা, কালো ছোলা, দেবদারুর মতো শুকনো ভেষজ দিয়ে তৈরি এমন একটি পাউডার যা দিয়ে নিয়মিত ম্যাসাজ আপনার ত্বকের নিচে, পেট এবং উরুতে জমে থাকা চর্বি কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

বাটার মিল্ক: প্রতিদিন যদি এক গ্লাস বাটার মিল্ক পান করতে পারেন তাহলে আপনার পেটের বাড়তি ওজন কমে যাবে।এক কাপ দই জলের সঙ্গে ভালো করে গুলে নিয়ে তাতে দিয়ে দিন জিরেগুঁড়ো এবং স্বাদ অনুযায়ী নুন। এরপর ধনেপাতা পুদিনা পাতা এবং কারি পাতা দিয়ে তৈরি করুন আয়ুর্বেদিক বাটার মিল্ক। প্রতিদিন লাঞ্চের সময় ডায়েট প্ল্যানে রাখুন এক গ্লাস তাজা বাটার মিল্ক।

(আরো পড়ুন:প্লাস্টিক ছেড়ে কাচের বোতলে জল রাখছেন? ভালো করছেন নাকি খারাপ)

নিয়মিত ব্যায়াম: জিমে গিয়ে শরীর চর্চা করার যদি সময় না থাকে তাহলে প্রতিদিন আধঘন্টা হাঁটাহাঁটি, সাইকেলিং করুন। এই দৈহিক পরিশ্রম আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

প্রসঙ্গত, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ফলাফল ব্যক্তি বিশেষে বিভিন্ন রকম হয়। এছাড়া আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা চলাকালীন কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় রোগীদের। আপনি যদি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই নিকটবর্তী কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই চিকিৎসা শুরু করবেন।