Drainage work in Narkeldanga: মিলেছে পুলিশের অনুমতি, নারকেলডাঙায় জল যন্ত্রণা কমাতে নিকাশির কাজ শুরু করবে KMC

বর্ষা এলেই জলমগ্ন হয়ে ওঠে কলকাতার একাধিক এলাকা। তার মধ্যে একটি হল নারকেলডাঙা। এখানে জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। পরিস্থিতি এমন যে সামান্য বৃষ্টি হলেই সেখানে জল জমে যায়।এর ফলে ক্যানেল সার্কুলার রোড হয়ে নিকটবর্তী কোনও জায়গায় পৌঁছতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। তাছাড়া জল জমার ফলে নাজেহাল অবস্থা হয় সেখানকার বাসিন্দাদের। এই অবস্থায় ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে দ্রুত নিকাশির কাজ শুরু করতে চলছে কলকাতা পুরসভা।

আরও পড়ুন: খোঁড়াখুঁড়ি, জমা জলে নাজেহাল কলকাতা, বৈঠকে কাউন্সিলারদের কাছে রিপোর্ট তলব মেয়রের

এই ওয়ার্ডের কাদাপাড়ায় অবস্থিত অ্যাপোলো হাসপাতাল। সেই হাসপাতালের পিছনের দিকেই একের পর এক গড়ে উঠেছে একাধিক বহুতল। কিন্তু, সেখানকার ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের অভিযোগ, মোটা টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেও সামান্য বৃষ্টি হলেই তাদের জল যন্ত্রণায় ভুগতে হয়। এমন অবস্থায় বাসিন্দাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ওই ওয়ার্ডে নিকাশি ব্যবস্থার কাজ শুরু করতে চেয়েছিলেন ভোট শুরুর আগেই। সেই সময় কলকাতা পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে পুরসভাকে চিঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ভোটের কারণে ভিভিআইপিদের আনাগোনা লেগেইছিল। সেই কারণে সেই সময় অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। কারণ ভোটপর্বে একাধিবার রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিভিন্ন দলের শীর্ষস্থরের নেতারা। 

সেক্ষেত্রে তাদের কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে বেলেঘাটার রাস্তা ধরেই প্রবেশ করতে হয়েছে। ফলে নিকাশির কাজ শুরু করা যায়নি। কারণ সেক্ষেত্রে নিকাশির কাজ শুরু হলে যেমন যানজট দেখা দিত তেমনি ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যেত। তবে ভোটপর্ব মিটতেই এবার সেখানে নিকাশির অনুমতি দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এবিষয়ে মেয়র জানান, অনেক আগেই কলকাতা পুলিশের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে ভোটের কারণে সেই অনুমতি মেলেনি। ভোট হয়ে যাওয়ার পর এবার অনুমতি মিলেছে। 

উল্লেখ্য, আগে এই এলাকাটি ছিল কেএমডির হাতে। তবে সেটি সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার হাতে এসেছে। পুলিশ অনুমতি দেওয়ার পরেই কীভাবে নিকাশি করা হবে? তার পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হচ্ছে যে পুরো রাস্তা বন্ধ করা হবে না। একদিক বন্ধ রেখে কাজ করা হবে। অন্যদিকে, ক্যানেল সার্কুলার রোডের কাছে বাইপাস লাগোয়া এলাকায় আগে একাধিক পুকুর আগে ছিল। এখন তা বুজিয়ে দেওয়ার ফলে জল জমছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ বিষয়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।