Bilkis Bano: বিলকিস বানোর ধর্ষকদের রেহাইয়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই কোনপথে?

স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে বিশেষ বিধিতে তাঁর ধর্ষক ও পরিবারের হত্যাকারীদের সাজার মেয়াদের আগেই মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার পর বিলকিস বানো দোষীদের এই মুক্তি নিয়ে সরব হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। গুজরাট সরকারের তরফে নেওয়া পদক্ষেপে সাজা মুক্তি হয় বিলকিস বানোর ধর্ষকদের। তার বিরুদ্ধেই আইনের পথে মামলা করেছেন বিলকিস। সেই মামলার শুনানির দিনই সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী।

সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলার সময় বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর অব্যহতির ঘটনায় এই মামলা আপাতত স্থগিত রয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে শুনানিতে উপস্থিত হন বিচারপতি অজয় রস্তোগি ও বেলা এম ত্রিবেদী। শুনানির শুরুতেই বিচারপতি রস্তোগি জানান, বিচারপতি ত্রিবেদী এই মামলা শুনতে চাননা। তিনি জানান এই মামলা এমন কোনও বেঞ্চে হস্তান্তরিত করা হোক যেখানে তাঁরা দুজনের মধ্যে কেউ উপস্থিত থাকবেন না। উল্লেখ্য, বিলকিস বানোকে কেন্দ্র করে দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। সদ্য অগস্ট মাসে তাঁর ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে সাজা থেকে রেহাই দেয় গুজরাট সরকার। সেই ঘটনার পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে কোর্টের দ্বারস্থ হন বিলকিস বানো। এদিকে, বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় ও পরিবারের হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের সাজা মুক্তি ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ জনতা। দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এরপর ৩০ নভেম্বর ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিলকিস বানো। 

স্টেশনের আদল, রং নিয়ে নয়া বিতর্ক! হিন্দু সংগঠনের দাবির পর কী দেখা গেল কর্ণাটকে?

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের গোধরা দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোর ওপর নারকীয় যৌন অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। ২০০৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হন ১১ জন। বিলকিস বানোর পরিবারের ৭ জনকে খুন করার দোষও ছিল অভিযুক্তদের ওপর। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২০২২ সালের অগস্ট মাসে বিলকিস বানো মামলায় অভিযুক্তদের রেহাই ঘিরে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। প্রসঙ্গ, ১৯৯২ সালে গুজরাট সরকারের তরফে গৃহিত এক বিধির আওতায় এই রেহাইয়ের ঘটনা ঘটে।