প্রয়াত হলেন ‘Border’ সিনেমার রিয়েল হিরো, দেশ মনে রাখবে ৭১’র বীর জওয়ানকে

১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের অন্যতম সেনানী ভৈর সিং রাঠোর প্রয়াত হলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলেন ৮১ বছর। রাজস্থানের লোঙ্গেওয়ালা পোস্টে তাঁর সেই বীরত্বের কথা আজও মানুষের মুখেমুখে ফেরে। বর্ডার ছবিতে অভিনেতা সুনীল শেঠ্ঠি তাঁর বীরত্বকেই ছবির মাধ্যমে তুলে এনেছিলেন। সোমবার যোধপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করলেন বিএসএফের সেই বীর জওয়ান।

বিএসএফ টুইট করে জানিয়েছেন যোধপুরের এইমসে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। রাঠোরের পুত্র পিটিআইকে জানিয়েছেন, ১৪ ডিসেম্বর বাবাকে যোধপুর এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর প্যারালাইসিস হয়ে গিয়েছিল।যুদ্ধে ৫১তম বার্ষিকীর দুদিন আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

চিকিৎসকরা বলেছিলেন আমার বাবার ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে। বাবাকে আইসিইউতেও ভর্তি করা হয়েছিল। যোধপুর থেকে প্রায় ১২০ কিমি দূরে সোলাঙ্কিয়াতলা গ্রামে তিনি থাকতেন।

৭১এর যুদ্ধের সময় থর মরুভূমিতে লোঙ্গেওয়ালা পোস্টে মোতায়েন করা হয়েছিল তাঁকে। আর্মির ২৩ পঞ্জাব রেজিমেন্টও তাঁর সঙ্গে ছিল তখন। ৫ ডিসেম্বর তাঁরই সাহসিকতার জেরে পাকিস্তানি ব্রিগেড পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল। তাঁর সাহসিকতাকে আজও স্মরণ করে গোটা দেশ। সেই বীর প্রয়াত হয়েছেন এদিন।

১৯৭২ সালে তিনি সেনা মেডাল পেয়েছিলেন। ১৯৮৭ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন। বিএসএফের রেকর্ডে উল্লেখ করা রয়েছে, পঞ্জাব রেজিমেন্টের জওয়ান গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সেই সময়। তারপরই ল্যান্স নায়েক ভৈর সিং সেই সময় এলএমজি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। এরপরই শত্রু শিবিরে আঘাত হানতে শুরু করেন তিনি। কার্যত সেদিন গুড়িয়ে দিয়েছিলেন শত্রুঘাঁটি।

অফিসিয়াল রেকর্ডে উল্লেখ করা রয়েছে, তাঁদের সাহসিকতায়, তাঁর বীরত্বে এই জয় এসেছিল। তিনিই অনুপ্রেরণা।