Pure Drinking Water: নতুন পাইপলাইন বসছে টালায়, কেন তৈরি করা হচ্ছে ট্রেসেল ব্রিজ?

কলকাতা শহরে জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে। আর কলকাতার বাসিন্দাকে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে চায় কলকাতা পুরসভা। এই কাজ করতে টালা ট্যাঙ্ক থেকে শহরে পানীয় জল সরবরাহের পরিমাণ বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুরসভা। তাই নতুন পাইপলাইন বসিয়ে টালা জলাধার থেকে জল নিয়ে যেতে হবে গ্যালিফ স্ট্রিটের ভালভ স্টেশনে। সেই কাজ চলছে। এখন শতাব্দীপ্রাচীন টালা ট্যাঙ্কের সংস্কার চলছে। যা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি বা মার্চের শুরুতে শেষ হবে। আবার এই পাইপলাইন বসানোর কাজও শেষ হবে বলে পুরকর্তারা আশা করছেন।

ঠিক কী কাজ করা হচ্ছে?‌ পানীয় জলের সরবরাহ বাড়াতে মোট ৭০০ মিটার পাইপলাইন পাতা হবে। পাইপলাইন নিয়ে যেতে তৈরি করতে হচ্ছে গোটা একটি সেতু। পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, এই সেতুটি ৪৮ মিটার ব্যাসের পাইপকে ধারণ করবে। এমনকী এই পানীয় জল সরবরাহ বাড়াতে আরও পাইপলাইন টালা ট্যাঙ্ক থেকে ভালভ স্টেশনে নিয়ে যেতে গেলেও ব্যবহার করা যাবে সেতুটি। ইঞ্জিনিয়ারদের পরিভাষায় এমন সেতুকে বলা হয় ‘ট্রেসেল ব্রিজ’। এই ট্রেসেল ব্রিজ নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এখন পলতা জল প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা ২০ মিলিয়ন গ্যালন বাড়ানো হয়েছে। সেই জল এখন পাইপলাইনের মধ্য দিয়ে টালার ট্যাঙ্কে পৌঁছচ্ছে। তবে ওই জল শহরবাসীর দুয়ারে পৌঁছতে গেলে নতুন পরিকাঠামো গড়ে তোলা দরকার। বহু বছর পর এত বড় পাইপলাইন পাতার কাজ হচ্ছে। ৪৮ ইঞ্চি ব্যাসের এই পাইপলাইন দিয়ে পানীয় জল টালা ট্যাঙ্ক থেকে গ্যালিফ স্ট্রিটের ভালভ স্টেশনে আসবে। তারপর সেখান থেকে শহরের নানা প্রান্তে জল সরবরাহ হবে। ভবিষ্যতে আরও একটি পাইপলাইন বসাতে গেলেও এই ট্রেসেল ব্রিজ ব্যবহার করা যাবে।

কেন এমন ভাবনা পুরসভার?‌ জানা গিয়েছে, টালা ট্যাঙ্কে জলের জোগান পর্যাপ্ত আছে। কিন্তু তার সরবরাহ পরিকাঠামো না থাকায় বেশ কয়েকটি এলাকায় পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। কাশীপুর, দমদম–সহ কিছু এলাকায় জলের চাপ কম বলে অভিযোগ আসে। তাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এই কাজ করতে হচ্ছে। এই কাজের ফলে বেশ কিছু এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে বলে মনে করছে কলকাতা পুরসভা। তবে নয়া পাইপলাইনের কাজ পুরসভা করলেও ‘ট্রেসেল ব্রিজ’টি নির্মাণ করছে রাজ্য সরকারের পূর্তদফতর।‌