Iran Footballer’s Family Harassed: হিজাব বিরোধী আন্দোলকে সমর্থন করা তারকা ফুটবলারের স্ত্রী-কন্যাকে ‘হেনস্থা’ ইরানে!

এখনও হিজাব বিরোধী আন্দোলনের আগুন নেভেনি ইরানে। এই আবহে এবার ইরানের এক তারকা ফুটবলারের স্ত্রী ও কন্যাকে দেশ ছাড়তে বাধা দিল ইরান সরকার। উল্লেখ্য, আলি দায়েই নামক সেই প্রখ্যাত ফুটবলার হিজাব বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। এর আগে আলি দায়েইর পাসপোর্টও বাজেয়াপ্ত করেছিল ইরান সরকার। এবার আলির স্ত্রী এবং সন্তানকে দুবাই যাওয়ার পথে বাধা দিল ইরান সরকার। জানা গিয়েছে, সোমবার ইরান থেকে দুবাইগামী বিমানে উঠেছিলেন আলির স্ত্রী এবং তার মেয়ে। বিমানটি সময় মতো ছেড়েও দেয়। তবে পার্শিয়ান গালফের কিশ দ্বীপে বিমানটি অবতরণ করে। যদিও সেখানে নামার কথা ছিল না বিমানটির। তবে কিশ দ্বীপে নামতেই আলির স্ত্রী এবং মেয়েকে বিমান থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও ততক্ষণে বিমানটি চলে গিয়েছে।

এদিকে মহান এয়ার বা ইরানি সরকারের তরফে এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। এদিকে সরকার পন্থী সংবাদসংস্থা তসনিম দাবি করেছে, আলির স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়, দুবাই গিয়ে সেখান থেকে আমেরিকা যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আলির স্ত্রীর। প্রসঙ্গত, ইরানে মাশা আমিনি নামক এক ২২ বছর বয়সি তরুণীর মৃত্যুর পর থেকেই বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে হিজাব বিরোধী আন্দোলন চলছে। হিজাব ‘ঠিক করে না পরার’ কারণেই প্রাণ হারাতে হয়েছিল আমিনিকে। ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর কট্টরপন্থা অবলম্বন করেছিল ইরান। সেই কট্টরপন্থার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তরুণ প্রজন্ম। আলির মতো বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি আন্দোলকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন। এর জেরে ইরানি সরকারের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। বিগত কয়েক মাস ধরে তরুণ প্রজন্মের এই নয়া বিপ্লব দমনে সব ধরনের পদক্ষেপ করছে ইরান সরকার।

বিগত কয়েক মাসে হিজাব বিরোধী ৫০৭ আন্দোলকারীকে খুন করেছে ইরানি পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৮,৫০০ জনকে। এই আবহে ইরান ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক আলি দায়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন যাতে মানুষের ওপর জোর না খাটিয়ে সমস্যার সমাধান করা হয়। এরপরই তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। পরে অবশ্য তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আলিকে। এদিকে ইরান সরকারের অভিযোগ, আমেরিকা এবং ইজরায়েল এই আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছে। যদিও আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, কয়েক দশক ধরে এই কট্টরপন্থায় বসাবস করে দমবন্ধ হয়ে এসেছে তাদের। তাই তাদের মুখে শুধু একটাই স্লোগান – ‘নারী, জীবন, মুক্তি’।