Padma awards 2023: প্রচার থেকে দূরে এঁদের মহৎ কর্মকাণ্ড পেল পদ্মসম্মান! এমসি দাওয়ার, হেমচন্দ্র গোস্বামীদের কাহিনি একনজরে

প্রচারের থেকে বহু ক্রোশ দূরে থাকা কয়েকজন অসামান্য ব্যক্তিত্বের নাম প্রতিবারই পদ্ম সম্মানের তালিকায় উঠে আসে। পরম্পরা থেকে বাদ পড়ল না ২০২৩ সালের পদ্ম সম্মানের তালিকা। যাঁরা দেশের পুরনো পরম্পরাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, সেই ব্যক্তিত্বদের সম্মান দেওয়া হয় পদ্ম পুরস্কারে। তেমনই কয়েকজন ব্যক্তিত্ব যাঁদের ২০২৩ পদ্মপুরস্কারে সম্মান জানানো হচ্ছে, দেখে নেওয়া যাক তাঁদের অসামান্য অবদানের অধ্যায়।

ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ড.এমসি দাওয়ারের বয়স এখন ৭৭। জব্বলপুরে তাঁর চেম্বার। চিকিৎসার জন্য ১৯৭২ সালে তাঁর পারিশ্রমিক ছি রোগী প্রতি ২ টাকা, আর বর্তমানে তা ২০ টাকা। রোগীর সেবায়, দেশের সেবায় তিনি আজও ব্রতী। তিনি বলছেন,’আমার শিক্ষক একসময় বলেছিলেন, মেডিক্যাল পেশা মানুষের সেবার জন্য, কারোর রক্ত চোষার জন্য নয়। এইকথাগুলো আমার জীবন পাল্টে দিয়েছে। তারপর থেকে নূন্যতম টাকায় আমি চিকিৎসা করি।’

ড. দাওয়ারের জন্ম পাকিস্তানে। ১৯৪৬ সালে পাকিস্তানে জন্মের পর দেশভাগের কোপে তাঁর গোটা পরিবার আসে জলন্ধরে। পঞ্জাবের জলন্ধরে তিনি এমবিবিএস পড়েন। ১৯৬৫তে পাশ করেই যোগ দেন ভারতীয় সেনায়। ১৯৭১ এর যুদ্ধে তিনি ছিলেন ভারতীয় সেনায়, তবে পরে আগাম অবসর নিয়ে সেনার কর্তব্য থেকে বেরিয়ে আসেন। গ্রহণ করেন দেশ সেবার আরও একটি দায়িত্বের দিক। শুরু হয় ন্যূনতম টাকায় রোগীর সেবা।

যে তালিকায় ড. দাওয়ারের মতো ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, পদ্মসম্মানের সেই তালিকায় রয়েছেন হেমচন্দ্র গোস্বামী। যিনি বাঁচিয়ে রেখেছেন মুখোশ বানানোর ঐতিহ্যকে। যে বিশেষ মুখোশ ‘ভাওনা’ নাট্যে ব্যবহৃত হয়। পনেরোশো শতকের এই সংস্কৃতি জিইয়ে রয়েছে হেমচন্দ্রের তৈরি মুখোশ সমেত বহু কিছুর হাত ধরে।

১৯৩৪ সালৈ তামিলনাড়ুর পায়ানুরে পা রেখেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। সেদিনই জীবন পাল্টে যায় ছোট্ট এপি আপ্পাকুট্টা পদুভালের। বর্তমানে ৯৯ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে এপি আপ্পাকুট্টা পদুভাল স্মরণ করেন সেই দিন। স্বাধীনতা সংগ্রামী এই বর্ষীয়ানও এই বছর পদ্মসম্মান প্রাপকদের তালিকায়।

ওড়িশার কেওঞ্ঝরের মাগুনি চরণ কুনার পুতুল নাচের নানান গাথা বহু লাইমলাইটের অজান্তেই মানুষকে উপহার দিয়েছেন। শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার তাঁর তাগিদকে এবার সম্মান জানাচ্ছে পদ্ম পুরস্কার। ছত্তিশগড়ের অজয় মান্ডাবিও মাগুনি চরণের মতো শিল্পী। অজয় কাঠ দিয়ে ক্যালিগ্রাফির অসামান্য সমস্ত শিল্পকীর্তি তৈরি করেন। শুধু তাই নয়, মাওবাদের রাস্তা ছেড়ে আসা ৩০০ জনকে তিনি পড়ান। একইভাবে নিরলস প্রচেষ্টায় গুরু ককচিঙ্গতবম শানথৈব শর্মা ‘থাং তা মার্শাল আর্টস’কে জিইয়ে রেখেছেন। আর তিনিও এই বছর পদ্মসম্মান প্রাপকদের তালিকায়।