Modi at Mann ki Baat on Tribeni Kumbh: ‘সংস্কৃতি রক্ষা করেছেন’, বাঁশবেড়িয়ার ত্রিবেণীতে কুম্ভ আয়োজনের প্রশংসায় মোদী

হুগলির ত্রিবেণী প্রাচীন এক তীর্থস্থান। কথিত আছে – গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী, তিন নদীর সঙ্গমস্থল বলেই এই জায়গার নাম ত্রিবেণী। আজ বছরের দ্বিতীয় ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে মোদীর গলায় সেই ত্রিবেণী। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘বন্ধুরা, পশ্চিমবঙ্গের ত্রিবেণীতে বহু শতাব্দী ধরে একটি পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব সাহিত্য, শাক্ত সাহিত্য এবং অন্যান্য বাংলা সাহিত্যকর্মে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। এই মাসে সেই ত্রিবেণীতে কুম্ভ স্নানের আয়োজন করা হয়েছে। এই পুণ্যস্নানে আট লাখ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। তবে আপনি জানেন এটি কেন এত তাৎপর্যপূর্ণ? কারণ, ৭০০ বছর পর ফের এই প্রথাকে পুনরজ্জীবিত করা হয়েছে।’ (আরও পড়ুন: ‘মনে হচ্ছে মোদীজি পাকিস্তানকে সাহায্য করবেন’, দাবি প্রাক্তন ‘র’ প্রধানের)

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক হাজার বছরের এই প্রথা দুর্ভাগ্যবশত ৭০০ বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই পুণ্য স্নানের প্রথা স্বাধীনতার পরই নতুন করে শুরু করা উচিত ছিল। তবে তা হয়নি।’ দুই বছর আগে স্থানীয় মানুষজন এবং ‘ত্রিবেণী কুম্ভ পরিচালনা সমিতি’র যৌথ প্রয়াসে এই স্নানের প্রথা ফের চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আমি এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানাই। আপনারা কেবল একটি প্রথাকেই নতুন করে চালু করেননি। আপনারা ভারতীয় সংস্কৃতিকে রক্ষা করেছেন।’

প্রসঙ্গত, এবছর ১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি বাঁশবেরিয়ার ত্রিবেণীতে কুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল। ১৩ ফেব্রুয়ারি ছিল কুম্ভস্নান। জেলা প্রশাসন ও রাজ্য প্রশাসন এই মেলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। কমিটিতে সাধুদের পাশাপাশি ছিলেন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীও। ত্রিবেণী শিবপুর মাঠে বিশাল যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ইতিহাসের বিভিন্ন দলিল থেকে জানা যায়, সপ্তগ্রাম ও ত্রিবেণী শিক্ষা ও সংস্কৃতির বড় কেন্দ্র ছিল বহু শতাব্দী আগে। মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব সাহিত্য, শাক্ত সাহিত্য, সাধারণ বাংলা সাহিত্যেও এর উল্লেখ রয়েছে। এই আবহে পুণ্যার্থীর স্নানের উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে তৎপর হয় স্থানীয় বাঁশবেড়িয়া পুরসভা এবং কেএমডিএ। ত্রিবেণী এলাকার মোট ১১টি গঙ্গার ঘাট সংস্কার এবং সৌন্দর্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ত্রিবেণীর সঙ্গমস্থল ছাড়াও এই এলাকায় হংসেশ্বরী মন্দির, নেতা ধোপানির ঘাট, বেহুলা–লখিন্দরের ঘাট–সহ বেশ কিছু দ্রষ্টব্য স্থান রয়েছে। সেগুলির সংস্কার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সপ্তগ্রামের বিধায়ক তথা পুরসভার তত্ত্বাবধায়ক তপন দাশগুপ্তও এই সংস্কার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।