Santanu Banerjee: এবার মুখ খুললেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, গ্রেফতারের পর প্রথম কোন কথা বললেন?

শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তারপর নানা টাকা লেনদেনের খবর সামনে আসে। তবে তার পরও প্রথমবার মুখ খুলে নিজেকে ‘‌নির্দোষ’‌ বলে দাবি করলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শনিবার দুপুরে হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। এমনকী বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

ঠিক কী বলেছেন শান্তনু?‌ আজ, শনিবার তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‌অবৈধ উপায়ে নিয়োগের জন্য আমি কোনও টাকা নিইনি। আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমি কোনও টাকা নিইনি। জেলের ভিতরে থাকা লোকজনই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি নির্দোষ। আমি নির্দোষ। আমি নির্দোষ। যা বলার কোর্টে বলব।’‌ শান্তনু এই মন্তব্য করলেও কারও নাম তিনি এদিন প্রকাশ্যে আনেননি।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ শুক্রবার রাতে হুগলির তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা শান্তনুকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করে ইডি। শুক্রবার সকালে ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর জেরার পর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি অফিসাররা। এদিন তাঁকে আদালতে তোলা হয়। গত ২০ জানুয়ারি শান্তনুর বাড়িতে হানা দেয় ইডির আধিকারিকরা। সেখানে চলে তল্লাশি। তখন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এরপর মোট সাতবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল।

কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে?‌ ইডির দাবি, স্কুলে শিক্ষক–শিক্ষাকর্মী পদে চাকরির ‘রেট’ ঠিক করতেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঠিক করা ‘রেট’–এ টাকা তুলতেন কুন্তল ও তাপস মণ্ডল। সেই টাকা শান্তনু পাঠিয়ে দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ‘কাকু’কে। আর ‘কাকু’ মারফৎ সেই টাকা চলে যেত আর এক প্রভাবশালীর কাছে। কুন্তল ঘনিষ্ঠ বিউটি পার্লার মালকিন সোমা চক্রবর্তী হাজিরা দেন ইডি দপ্তরে। আগামী মঙ্গলবার আবার অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে কুন্তলের উপহার দেওয়া গাড়ির নথি নিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শোনা যায়, টেলিফোন বুথের ব্যবসা দিয়ে ‘কেরিয়ার’ শুরু। পরিবারের কেউ মারা যেতে বিদ্যুৎ বন্টন নিগমে চাকরি পান। কিন্তু এক প্রভাবশালী নেতার প্রভাবে ২০১০ সালের দিকে ছাত্র রাজনীতি থেকে তিনি হয়ে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেসের হুগলি জেলার যুব সভাপতি। একটা সময় স্থানীয়স্তরের দলের আদি নেতাদেরও পাত্তা দিতেন না। বলাগড়ে রিসর্ট রয়েছে তাঁর। হুগলি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত–সহ কলকাতাতেও তাঁর ফ্ল্যাট রয়েছে। আর আছে বিলাসবহুল বেশ কয়েকটি গাড়ি।