হাতির সঙ্গে বাইক রেস, পালাতে গিয়ে যুবককে আছাড় মারল গজরাজ, ঝাড়গ্রামে মৃত ২

ফের হাতি আর মানুষের সংঘাত বাংলায়। এবার ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় মৃত্য়ু হল ২ জনের। তার মধ্য়ে এক বৃদ্ধা রয়েছেন। এক বাইক চালককে তাড়া করে ধরে ফেলে হাতি।দুজনের মৃত্যু। একজন আহতও হয়েছেন।

সোমবার রাত থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর মৃত্যু। আর সবটাই হাতির হানায়। এদিন প্রথমে মৃ্ত্যু হয় কমল মাহাতো নামে এক ব্যক্তির। তার বয়স ৪৪ বছর। রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতেন তিনি। কাজ সেরে স্থানীয় চুনাপাড়া হয়ে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। পথেই দেখা গজরাজের সঙ্গে। এদিকে বাইকে মোট তিনজন ছিলেন। প্রথমে বাইকের স্পিড বাড়িয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অত সহজে কি আর হাতির সঙ্গে পারা যায়। এদিকে রাস্তায় গর্ত রয়েছে। এর জেরে বাইক ছেড়ে দিয়ে ছুটতে শুরু করেন তারা। বাকি দুজন জঙ্গলের মধ্য়ে ঢুকে পড়েন। কিন্তু হাতিটি জঙ্গলের মধ্য়ে না গিয়ে সোজা রাস্তা ধরে ছুটতে শুরু করে। এরপর কমলকে এটি নাগালের মধ্য়ে পেয়ে যায়। তারপরই রাস্তাতেই শুড়ে পেঁচিয়ে নিয়ে হাতিটি আছাড়় মারে। এরপর পিষে দেয় হাতিটি।

এদিকে পরে বনদফতর, পুলিশ তার দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়। তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।

অন্য়দিকে মানিকপাড়া রেঞ্জের বালিয়া গ্রামে নমিতা মাহাতো নামে এক মহিলার মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছিল হাতির তাণ্ডবে। এদিকে আতঙ্কে ৬৫ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকেও ধরে ফেলে হাতিটি। এরপর পা দিয়ে একেবারে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।

এদিকে হাতি ও মানুষের সংঘাত নিয়ে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর তথ্য় সামনে এসেছে.। পরিবেশ দফতরের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে জানিয়েছেন, গত তিন বছরে মানুষ ও হাতির মধ্য়ে সংঘাত কিছুটা বেড়েছে। ২০১৯-২০তে এই ধরনের ৫৮৫টি ঘটনা হয়েছিল। ২০২০-২১এর মধ্য়ে ৪৬১টি এই ধরনের ঘটনা হয়েছিল। তবে গত বছর এই মৃত্যুর সংখ্য়া কিছুটা বেডে় দাঁড়িয়েছে ৫৩৫। একাধিক রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য় অনুসারে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এদিকে হাতির সংখ্যা বর্তমানে কত রয়েছে তা নিয়েও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর পেশ করার হিসেব অনুসারে দেখা যাচ্ছে, ভারতে প্রায় ৩০০০০ অর্থাৎ ২৯৯৯৬৪টি হাতি রয়েছে। সবথেকে বেশি হাতি রয়েছে কর্ণাটকে। সেখানে হাতির সংখ্য়া ৬০৪৯টি।