Go First stops ticket sales & Flights: ১৫ মে পর্যন্ত বন্ধ গো ফার্স্টের টিকিট বিক্রি, ৯ মে পর্যন্ত উড়বে না বিমান

গত মঙ্গলবারেই স্বেচ্ছায় নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য ন্যাশমাল কোম্পানি ল’ ট্রাইবুনালের কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছিল গো ফার্স্ট কর্তৃপক্ষ। আর এবার আগামী ১৫ মে পর্যন্ত সমস্ত টিকিট বিক্রি বন্ধ করল গো ফার্স্ট। এই আবহে ডিরেক্টোরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশনের তরফে বিক্রি হওয়া টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংস্থাকে। এদিকে আগামী ৯ মে পর্যন্ত সমস্ত উড়ান বাতিল করেছে সংস্থা। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে সংস্থাটি জানায়, নগদের অভাবে যাত্রীদের উড়ান পরিষেবা দিতে ব্যর্থ তারা।

উল্লেখ্য, গো ফার্স্টের বিমানে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি সংস্থার ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। তবে অর্থের অভাবে সেই ইঞ্জিন আনা যাচ্ছে না। আর তাই বসে গিয়েছে বিমান সংস্থাটি। তাছাড়া অর্থের অভাবে ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণও সম্ভব হচ্ছে না। মিলছে না অন্যান্য যন্ত্রাংশ। কয়েক হাজার কোটির লগ্নি এবং ঋণেও সংস্থার হাল ফেরেনি। এদিকে আগাম নোটিশ ছাড়া বিমান বাতিল করায় গো ফার্স্টকে শোকজ করেছে ডিজিসিএ। তবে এর জবাবে সংস্থার তরফে এনসিএলটি-তে আবেদনের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এদিকে গো ফার্স্টকে যদি দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়, তাহলে ঋণদাতা বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের মাথায় হাত পড়বে। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, ডয়েচে ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মিলিয়ে মোট ৬৫২০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে গো ফার্স্টকে। এর মধ্যে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার থেকে ১৪২৪ কোটি ঋণ নিয়েছে গো ফার্স্ট। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে ১৪০৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে গো ফার্স্ট। ডয়চে ব্যাঙ্কের থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ১৩২০ কোটি টাকা। এছাড়া আইডিবিআই থেকে ৩৭ কোটি এবং অ্যাক্সিস থেকে ৩০ কোটি টাকা নিয়েছে গো ফার্স্ট। এছাড়াও বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে গো ফার্স্টের দেনার পরিমাণ ১১ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, গো ফার্স্টের কাছে মোট ৫৯টি বিমান রয়েছে। সংস্থার কর্মী সংস্থা ৫ হাজার। এই আবহে এই সংস্থার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেশের বাণিজ্যিক মহল।