Jalpaiguri: গ্রেফতার করার সাহস হল না পুলিশের, উপপুরপ্রধানের আত্মহত্যায় অভিযুক্তের আত্মসমর্পণ

থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান ও তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সন্দীপ ঘোষ। বুধবার জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তাঁর দাবি, গোটা ঘটনাই বিজেপি চক্রান্ত। সুবোধবাবু সম্পর্কে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চক্রবর্তীর দাদা।

বুধবার কোতয়ালি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সন্দীপবাবু। সুইসাইড নোটে নাম থাকলেও তাঁকে পুলিশ কেন গ্রেফতার করল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে দম্পতির পরিবার। সঙ্গে নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

গত ১ এপ্রিল সকালে জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় সুবোধবাবুকে। নীচে খাটে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন অপর্ণাদেবী। দম্পতির একমাত্র মেয়ে পড়াশুনো করতে বাইরে থাকেন। দম্পতির ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। তাতে জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষসহ ৪ জনকে দায়ী করেছেন তাঁরা। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ ওঠার পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৈকতবাবু। আদালত তাঁকে রক্ষাকবচ দেয়। কিন্তু পুলিশ বাকিদের গ্রেফতার না করায় সরব হন বিজেপি বিধায়ক শিখা চক্রবর্তী। এমনকী গত মাসে নিহতের মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে তাঁদের বাড়ি যান বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। লাগাতার চাপের মুখে অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন সন্দীপবাবু।