US on Bangladesh Election: ‘নির্বাচনে কারচুপি করলে মিলবে না ভিসা’, মার্কিন হুঁশিয়ারির পর মুখ খুলল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মাথা ব্যথা আমেরিকার। আর তাই অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে বলে সম্প্রতি বাংলাদেশিদের ‘হুঁশিয়ারি’ দেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এরপরই মুখ খুলল বাংলাদেশের হাসিনা সরকার। বাংলাদেশের তরফে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যাতে কেউ হস্তক্ষেপ না করতে পারে এবং যাতে সুষ্ঠু ভাবে ভোটগ্রহণ ও গণনা সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। তবে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকার সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।

ব্লিনকেন এর আগে গতকাল বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অসম্মান করা ব্যক্তিদের মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না। আমরা এখন থেকে এই নীতি গ্রহণ করলাম।’ এর জবাবে বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারির সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার ক্ষেত্রে কোনও আপস করা হবে না। এর জন্য সরকারি সব প্রতিষ্ঠান যেকোনও পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত। কোনও ভাবেই অবৈধ কার্যকলাপ বা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বর্দাস্ত করা হবে না। এই ধরনের কার্যকলাপকে প্রতিরোধ ও মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।’ এদিকে এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‍্যাবের কিছু কর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল আমেরিকা।

এই আবহে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নয়া নীতির অধীনে যদি সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা কারচুপির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে আমেরিকা। এদিকে এই নীতি গ্রহণের কথা নাকি গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল মার্কিন প্রশাসনের তরফে। এদিকে এই নয়া ভিসা নীতিকে নিয়ে বাংলাদেশর সরকার ‘বিচলিত নয়’ বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ অপরজেয় হয়ে উঠেছে সেদেশে। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলনেতা বিএনপি-কে দমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে। এদিকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে হাসিনা সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসবে সেদেশে। তাদের অদীনেই পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সমালোচনা করে আসছেন। এই আবহে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে চিড় ধরেছে।