4-year UG Course in WB: এবার থেকে চার বছরে স্নাতক, জাতীয় শিক্ষানীতিতে সিলমোহর দিল রাজ্য

অবশেষে স্নাতকস্তরের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতিতে সিলমোহর দিল রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর। সুতরাং চার বছরের পাঠ শেষ করে তবেই স্নাতক হবেন পড়ুয়ারা। যদিও জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করা নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর। তবে এই শিক্ষানীতি বিশ্লেষণ করার জন্য বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছিল রাজ্যের পক্ষ থেকে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও তৎপর হয়েছিলেন। অবশেষে এই শিক্ষানীতিতে মিলল অনুমোদন। এবার থেকে তিন বছরের পরিবর্তে চার বছর ধরে চলবে স্নাতকের পাঠ। আর চার বছর এই পাঠক্রম শেষ করার পর সরাসরি গবেষণায় অংশ নিতে পারবেন পড়ুয়ারা।

এদিকে ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়িত করতে চলেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া থেকেও পিছিয়ে এল রাজ্য শিক্ষা দফতর। এই বছরে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া আর করা হবে না। গত বছরের মতোই ভর্তি প্রক্রিয়া হবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি অনলাইনেই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বলে নির্দেশিকা জারি হচ্ছে উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে। অর্থাৎ পুরনো নিয়মেই ভর্তি হতে পারবেন পড়ুয়ারা।

অন্যদিকে শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এবং সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে সব সরকারি–সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে এই নীতি কার্যকর হবে। ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হচ্ছে নতুন নিয়ম। এই বছর যে সব পড়ুয়া উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন, তাঁরা এই নয়া শিক্ষানীতির মধ্যে পড়বেন। সম্প্রতি মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি বৈঠকে উপস্থিত হয়ে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, জাতীয় শিক্ষানীতির বিভিন্ন সুপারিশ উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর করা না গেলে ভবিষ্যতে রাজ্যে ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়তে পারে।

ঠিক কী বলছেন শিক্ষামন্ত্রী?‌ ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে জাতীয় শিক্ষানীতিতে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‌এই বছর স্নাতকস্তরে ভর্তি হতে চলেছেন রাজ্যের প্রায় ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। তাঁদের সুবিধার কথা ভেবে স্নাতকস্তরে আমরা ৪ বছরের পঠনপাঠন চালু করতে চলেছি। এতে তাঁদের সর্বভারতীয় স্তরে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে এবং একইসঙ্গে রাজ্যের বাইরে পড়তে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।’‌ এতদিন এই শিক্ষানীতিকে তুঘলকি বলে সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। কিন্তু, ক্রমে কেন্দ্রের শিক্ষানীতির বহু অংশই মেনে নেয় রাজ্য।