Mangalik Status: মহিলা মাঙ্গলিক কি না জানতে জন্মছক চেয়েছিল হাইকোর্ট, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

এলাহাবাদ হাইকোর্ট এর আগে লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্য়োতিষ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছিল এক মহিলার জন্মছক বিচার করে দেখে নিতে তিনি মাঙ্গলিক কি না। তবে শনিবার সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আসলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক ব্যক্তি একজন মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ। সেই মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন ওই মহিলা। সেই মামলায় ওই বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। 

এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে জানিয়েছিলেন যে, বিয়ে শেষ পর্যন্ত করা যায়নি কারণ ওই মহিলার মাঙ্গলিক দোষ ছিল। 

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলার শুনানিতে উপস্থিত হয়ে জানিয়েছে, আদালত জ্য়োতিষশাস্ত্রের মতো কারোর ব্যক্তিগত বিষয়ের সঙ্গে জড়াবে না। 

বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়া, পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চ হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ২৩ মে একটি নির্দেশ দিয়েছিল। এই মামলার সারবত্তা নিয়ে আমরা কিছু জানাইনি। ২৩ মে তারিখের ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু এই মাঙ্গলিক বিষয়টি ঠিক কী? 

সূত্রের খবর, হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, যাঁদের জন্মে মঙ্গলের প্রভাব থাকে তাদের মাঙ্গলিক বলে উল্লেখ করা হয়। আর সেই সমস্ত ব্যক্তিদের মাঙ্গলিক দোষ আছে বলে উল্লেখ করা হয়। এমনকী বিয়ের ক্ষেত্রেও তাদের নানা রকম  প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য়ে পড়তে হয়। তবে অনেকের মতে এগুলি নিছকই কুসংস্কার। আবার অনেকের মতে এটা বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে, বাস্তবের কোনও ভিত্তি নেই। তবে গোটাটাই বিতর্ক সাপেক্ষ।

এদিকে ওই মহিলার তরফে আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ওই মহিলা মাঙ্গলিক নন। কিন্তু  এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল জন্মছক লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্য়াস্ট্রোলজি ডিপার্টমেন্টে জমা দিতে হবে। এমনকী মুখবন্ধ খামে তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

তবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়ে দেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অত্যন্ত অস্বস্তিদায়ক। এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া দরকার। 

তিনি জানিয়ে দেন, কেউ মাঙ্গলিক কি না এটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলছে না। জ্যোতিষবিদ্যা বিজ্ঞান। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আদালত কি এই নির্দেশ দিতে পারে?