Nagpur pregnant man: গর্ভবতী পুরুষ! ২৫ বছর গর্ভধারণ করেছিলেন এই ব্যক্তি, ক’টি বাচ্চার জন্ম হল জানেন

পেটের ভুড়িটা একঝলক দেখলে ঠিক ভুড়ি বলে মনে হবে না। বুকের হাড়ে চামড়া লেগে গিয়েছে। অথচ, এত বড় ভুড়ি! নতুন নতুন এই ভুড়ির সমস্যা দেখা দিয়েছে, তাও নয়। প্রায় ৩০ বছর ধরে এমনই ভুড়ি নিয়ে মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিটির দিন কাটছিল। আশেপাশের প্রতিবেশীরা রীতিমতো ঠাট্টা করতেন। বলতেন  ও একটা ‘অন্তঃসত্ত্বা পুরুষ’। এমনিতে ঠাট্টা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না অত। তা বলে সেই ঠাট্টাই যদি সত্যি হয়! হ্যাঁ, ঠাট্টাটাই সত্যি হয়েছে নাগপুরে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি সত্যিই ‘গর্ভবতী পুরুষ’।

আরও পড়ুন: কিছুতেই পড়া মনে থাকে না খুদের, বাড়িতে রোজ অশান্তি? ৪ কায়দা জানে না বলেই হয়তো

আরও পড়ুন: ফ্ল্যাটের চাকর-বাকরদের দিকে চোখ গেলে ভদ্রলোকদের নাকি খুব অসুবিধা হয়! Viral নোটিশ

১৯৯৯ সালে নাগপুরের বাসিন্দা সঞ্জু ভগৎ গর্ভধারণ করেন। তাও, এক সন্তান নয়, দুই সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন সঞ্জু। যমজ সন্তানের সেই কথা কিন্তু এতদিন তাঁর নিজের কাছেও অজানা ছিল। সকলে ঠাট্টা করলেও তিনি চিকিৎসকদের কাছে যাননি।কিন্তু দিন দিন পেট এমন ফুলতে শুরু করে যে শ্বাস নেওয়াই অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের দ্বারস্থ হতে হয় তাঁকে। আর মুম্বইয়ের হাসপাতালেই জানতে পারেন সেই চমকে দেওয়ার মতো সত্যি। একটি নয় দুটি ভ্রণ তাঁর পেটে রয়েছে। প্রথমে অবশ্য চিকিৎসকরা এমন কিছু সন্দেহ করেননি। ক্যানসারের টিউমার ভেবেই শুরু হয় পরীক্ষানিরীক্ষা। অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সময়েই দেখা যায় পেটের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে চুলসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ। যা দেখে রীতিমতো হতভম্ব হয়ে যান চিকিৎসকদল। শল্য চিকিৎসক অজয় মেহেতা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ওই ব্যক্তির পেট কাটার পর হাত ঢুকিয়ে  এক শিশুর পা, চুল-সহ বিভিন্ন দেহাংশের সন্ধান পান তাঁরা। তাঁর কথায়, ‘আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সংশয় ও বিস্ময়ও জাগছিল। মনে হচ্ছিল ওই ব্যক্তির পেটের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে কারও সঙ্গে হাত মেলাচ্ছি! ভয়ানক চমকে গিয়েছিলাম।’

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই বিশেষ শারীরিক অবস্থাকে বলে ‘ফেটাস ইন ফেটু’। এক্ষেত্রে  ভ্রূণের ভিতরে একটি অপরিণত শিশু জন্ম নেয়। পরজীবীর মতো একটি ভ্রূণের শরীরের ভিতরে বেড়ে ওঠে সেই অন্য ভ্রূণটি। তবে শেষপর্যন্ত দু’টি ভ্রূণই মারা যায়। অস্ত্রোপচারের পর সেই ভ্রূণ দু’টির খোঁজ পান চিকিৎসকরা। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায়, এমন পরিস্থিতি অত্যন্ত বিরল। প্রতি ৫ লক্ষ গর্ভধারণের মধ্যে একটি ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে। জানাগিয়েছে, সঞ্জুর ২০ বছর বয়স থেকেই একটু একটু করে পেট ফুলতে থাকে শুরু করেছিল। অবশেষে এত বছর পর থাকতে না পেরে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন তিনি।