Rape Case in High Court: বীর্যের চিহ্ন না মিললেও মহিলার যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের প্রবেশেই ধর্ষণ প্রমাণিত, জানাল হাই কোর্ট

ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে বড় পর্যবেক্ষণ করল দিল্লি হাই কোর্ট। এক বিদেশি মহিলার ধর্ষণের মামলায় দুই ব্য়ক্তিকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়ে উচ্চ আদালতের বিচারপতি বলেন, মহিলার যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের প্রবেশেই ধর্ষণ প্রমাণিত হয়ে যায়। যদিও এই ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষার সময় মহিলার যৌনাঙ্গে অভিযুক্তদের বীর্যের চিহ্ন মেলেনি। তবে আদালতের তরফে জানানো হয়, মহিলার যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করলেই তা ধর্ষণ বলে গণ্য করা হবে। এই ক্ষেত্রে নির্যাতিতার ডিএনএ টেস্টে অভিযুক্তর বীর্যের চিহ্ন না মিললেও দোষ লাঘব হয়ে যায় না।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে দুই ব্যক্তি মিলে এক নাইজেরিয়ান মহিলাকে গণধর্ষণ করেছিল। সেই মামলার শুনানি শেষেই সম্প্রতি ধর্ষণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করে দিল্লির উচ্চ আদালতের বিচারপতি মুক্তা গুপ্ত। আদালত জানায়, পরীক্ষার সময় অভিযুক্তর বীর্যের চিহ্ন যদি নির্যাতিতার শরীরে না মেলে, তার মানে এই নয় যে নির্যাতিতা মিথ্যা বলছেন। এদিকে নিম্ন আদালতে এই মামলার দুই আসামীকে ৩০ বছরের সাজা শোনানো হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত হাই কোর্ট তাদের সাজা কমিয়ে ২০ বছর করে দেয়। আসামীর মধ্যে একজন অবিবাহিত। অপরজন বিবাহিত। তার সন্তানও রয়েছে। এই আবহে আদালত বলে, আসামীদের শুধরোনোর সম্ভাবনা খারজি করে দেওয়া যায় না। এই আবহে দুই আসামীর সাজা কমানো হয়।

নিম্ন আদালতের ৩০ বছরের সাজাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দীনেশ ও রাজ কুমার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারপতি মুক্তা গুপ্ত বলেন, ‘সব প্রমাণ দেখে এবং নির্যাতিতার বয়ান শুনে মনে হচ্ছে আগের রায়ে কোনও গলদ নেই। তাছাড়া পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণও আসামীদের বিরুদ্ধেই রয়েছে।’ জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ১৮ জুন দিল্লির জনকপুরীতে এক বন্ধুর বাড়িতে পার্টিকরে ফিরছিলেন নির্যাতিতা নাইজেরিয়ান মহিলা। তিনি রাস্তায় অটোর জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় একটি প্রাইভেট গাড়ি এসে দাঁড়াত তাঁর সামনে। গাড়িতে থাকা দু’জন সেই মহিলাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয় এবং ধর্ষণ করে। এদিকে সেই মহিলার সঙ্গে থাকা মূল্যবান কিছু জিনিস ও ব্যাগও ছিনিয়ে নেয় ওই দুই ব্যক্তি। এরপর সেই মহিলা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এবং তদন্তে নেমে পুলিশ রাজ ও দীনেশকে গ্রেফতার করেছিল। যদিও রাজ ও দীনেশের দাবি, অন্য কারও বদলে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।