বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার কাছ থেকে সরছে পুলিশের মামলা, বদলের হাওয়া কলকাতা হাইকোর্টে

কলকাতা হাইকোর্টে এখন মামলার পাহাড়। তার উপর রয়েছে রাজনৈতিক নানা বিষয় নিয়ে মামলা। সিবিআই–ইডির রায় কলকাতা হাইকোর্টে দেওয়ায় এখন তাও শুনতে হচ্ছে। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে শুরু করে মনোনয়ন–পর্বের নানা বিষয় নিয়ে মামলা হচ্ছে। ফলে চাপ বাড়ছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের উপর। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ নিয়ে যাবতীয় মামলা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার হাত থেকে সরে যাচ্ছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নানা চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

হাতে আর দু’‌দিন। আজ এবং আগামীকাল। এই দু’‌দিন পেরিয়ে গেলেই নতুন মাস। আর এই জুলাই মাস থেকে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বসবেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর সঙ্গে ওই বেঞ্চে থাকবেন বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্য। আর তাঁরা শুনবেন পরিবহণ সমস্যা ও জটিলতা নিয়ে মামলা। অর্থাৎ এই বিষয়ে যেসব মামলা দায়ের হয়েছে। এতদিন রাজাশেখর মান্থা সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি ছিলেন। ফলে তাঁর একক রায় কারও পছন্দ হতো আবার কারও অপছন্দও হতো। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে গেলে দুই বিচারপতির মিলিত রায়ই মেনে নিতে হবে।

এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই নতুন পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে। সেখানে পরিবহণ সংক্রান্ত মামলা শুনবেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলে উল্লেখ রয়েছে। তবে এবার থেকে পুলিশ নিয়ে যাবতীয় মামলা শুনবেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সেক্ষেত্রে রাজাশেখর মান্থার কাছ থেকে এই মামলা সরে গেল। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের মামলার বিচার্য বিষয়েও বদল করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষার মামলাগুলি থাকছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছেই।

আরও পড়ুন:‌ সিপিএম–বিজেপি প্রার্থীর একসঙ্গে প্রচার দেখল গ্রামবাংলা, রাম–বাম জোটকে বিঁধল তৃণমূল

কবে থেকে পরিবর্তন হচ্ছে?‌ অন্যদিকে এই মামলা আসা এবং সরে যাওয়া নিয়ে বিচারপতিরা একেবারেই চিন্তিত নন। কারণ প্রত্যেকটি মামলাই তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ বিপদে পড়েই তো কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তবে রাজনৈতিক মামলার চাপ বাড়ায় বিচারপতিদের ভাগাভাগি করেই সব শুনতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে আগামী ৪ জুলাই থেকে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের মামলা শুনানির বিষয়ে পরিবর্তন নিয়ে এখন আদালতের অন্দরে নানা আলোচনা শোনা যাচ্ছে। আইনজীবীরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন। আগেও বহু বিচারপতিদের কাছ থেকে নানা মামলা সরার ঘটনা ঘটেছে। এমন নজির আছে কলকাতা হাইকোর্টে।