Cancer threat from Aspartame: ক্যানসারের সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে চর্চায় অ্যাসপার্টাম, ভুল করে খাচ্ছেন না তো!

বহু কোল্ড ড্রিঙ্কে ব্যবহাত আর্টিফিশিয়াল সুইটনার অ্যাসপার্টাম নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জুলাই মাসেই বড়সড় পদক্ষেপের পথে। এই অ্যাসপার্টামে সম্ভাব্য কার্সিনোজেন রয়েছে, এমন ঘোষণা জুলাই মাসে করতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’। খুব সহজে বলতে গেলে, এই আর্টিফিশিয়াল সুইটনার অ্যাসপার্টাম ক্যানসারের ঝুঁকির সম্ভাব্য কারণ হয়ে উঠতে চলেছে, বলেই হু ঘোষণা করতে চলেছে। প্রসঙ্গত, আমাদের চারপাশের বহু ড্রিঙ্কে এই অ্যাসপার্টাম থাকে। কী এই অ্যাসপার্টাম? কোন কোন পণ্যে রয়েছে এই উপাদানটি? দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

অ্যাসপার্টাম কী?

বিশ্বে গত ৩ দশকে অ্যাসপার্টাম আর্টিফিশিয়াল সুইটনার হিসাবে বহু প্রচলিত। বহু ড্রিঙ্কে এই উপাদান থাকে। এমন বহু ড্রিঙ্ক, যা ‘জিরো ক্যালোরি’, ‘সুগার ফ্রি’ হিসাবে উঠে আসে, সেগুলিতেও এই উপাদান থাকে।  রয়টার্সের রিপোর্ট বলছে, কোকা কোলার ‘ডায়েট কোক’-এ এই অ্যাসপার্টাম থাকে। এই প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার’ এ মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান হিসাবে ঘোষিত করতে চলেছে। উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, অ্যাসপার্টাম হল সুক্রোজের থেকে ২০০ গুণ বেশি মিষ্টি। ১৯৮১ সালে ‘ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ এই উপাদানকে ছাড়পত্র দেয়। তারপর থেকে বহু খাবার ও ড্রিঙ্কে এইটি ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের ১০০ টি সরকারি সংস্থা পরীক্ষা করে দেখেছে এই উপাদান খাওয়ার পক্ষে নিরাপদ। প্রতিগ্রাম অ্যাসপার্টাম থেকে ৪ কেসিএল শক্তি উৎপাদন হয়। চিনির স্বাদের সবচেয়ে কাছাকাছি স্বাদযুক্ত উপাদান এই অ্যাসপার্টাম।

কোন কোন উপাদানে থাকে অ্যাসপার্টাম?

১) ডায়েট কোকাকোলা

২) এক্সট্রা সুগার ফ্রি মার্স চিউইং গাম

৩) জেল-ও সুগার ফ্রি জিলাটাইন ডেসার্ট মিক্স

৪) স্ন্যাপল জিরো সুগার টি, জুস ড্রিঙ্কস

৫) সুগার টুইন সুইটনার প্যাকেটস

৬) ইকুয়েল জিরো ক্যালোরি সুইটনার্স

৭) ট্রাইডেন্ট সুগার ফ্রি পিপারমিন্ট গামস

কার্সিনোজেন কী?

উল্লেখ্য, অ্যাসপার্টামকে সম্ভাব্য কার্সিনোজেন হিসাবে আখ্যা দিয়েছে হু। কার্সিনোজেনের রয়েছে ৪ ভাগ।  সেগুলি হল- কার্সিনোজেনিক, সম্ভবত কার্সিনোজেনিক, সম্ভাব্য কার্সিনোজেনিক, শ্রেণীবিভাগযোগ্য নয়। রয়টার্সের রিপোর্ট বলছে, অ্যাসপার্টাম হল মূলত, সম্ভাব্য কার্সিনোজেনিক। এটি তৃতীয় স্তরের কার্সিনোজেনিক। বেশ কিছু পণ্য রয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে কার্সিনোজেন। আর তা মানুষের জন্য কার্সিনোজেনিক হিসাবে বর্ণিত রয়েছে। যা মানুষের দেহে ক্যানসার বাঁধাতে পারে। এই তালিকায় – প্রসেসড্  মাংস(মিট), তামাক জাতীয় পদার্থ, এক্স ও গামা রেডিয়েশন, কাঠের গুঁড়ো, আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন, ফরমাল ডিহাইড্রেট রয়েছে।