বাবা মায়ের মধ্যে একজন SC বা ST হলে সন্তানও তার অন্তর্ভূক্ত গণ্য হতে পারে, তবে থাকতে হবে অই শর্ত! কী জানাল কেরল হাইকোর্ট

একজন শিশুর বাবা বা মায়ের মধ্যে কোনও একজন যদি তফশিলি জাতি বা উপজাতি ভূক্ত হন, তাহলে তাঁদের সন্তান সেই শ্রেণিভূক্ত হত পারে, যদি সেই সন্তান জাতি ভিত্তিক আর্থ সামাজিক ভেদের শিকার হয়। এই রায় এদিন এসেছে কেরল হাইকোর্টের তরফে। 

কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি বিজু আব্রাহামের কাছে একটি পিটিশন দায়ের হয়েছে। সেখানে এক পড়ুয়াকে ‘পানিয়া’ জাতিভূক্ত করার জন্য আবেদন জমা পড়ে। যাতে তাকে সেই শ্রেণির সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, তার আবেদন জানিয়ে আসে পিটিশন। এই মামলায় দেখা গিয়েছে, ওই সন্তানের মা হলেন স্থানীয় হিন্দু পানিয়া জাতিভূক্ত, আর পড়ুয়ার বাবা হলেন সিরিয়ান ক্রিস্টান সম্প্রদায়ের। এদিকে, পানিয়া সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতিভূক্ত বলে গণ্য করা হয়। সেটি ‘সেকেন্ড শিডিউল টু কনস্টিটিউশন (শিডিউল ট্রাইব) ১৯৫০’ এর নিরিখে গণ্য করা হয়। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে কোর্ট জানা, যদি ওই পড়ুয়া এই সম্প্রদায়ের বাকিদের মতো একই সামাজিক স্তরে বসবাস করে, তাহলে তাকে এই জাতিভূক্ত করা যাবে। এক্ষেত্রে বিচারপতি ‘ইন্দিরা বনাম স্টেট অফ কেরলা’ সম্পর্কিত মামলার রায় তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়েছে, এমনকি অভিভাবকদের মধ্যে একজন যদি তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হন, তবে শিশুটি উল্লিখিত সম্প্রদায়ের সুবিধার জন্য যোগ্য। তবে বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল দাবি যার জন্য করা হচ্ছে, সেই ব্যক্তি, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাগতভাবে অক্ষমতার শিকার হয়েছে কিনা, এছাড়াও ওই সমাজ দাবিদারকে তাদের মধ্যে একজন হিসাবে গ্রহণ করেছে এবং একই সামাজিক নীতিতে বাস করছে  কিনা, তা দেখতে হবে।

( Rahul Gandhi in SC: গুজরাট হাইকোর্টে ধাক্কা! মোদী পদবী ঘিরে মানহানি মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাহুল গান্ধী)

আবেদনকারীর তরফে জানানো হয়েছে, এই পড়ুয়ার বাবা মায়ের মধ্যে ভিন জাতিতে বিয়ে হয়। ফলে পড়ুয়ার জাতিগত পরিচিতি নিয়ে সংশয়ের জেরে এই মামলা। এছাড়াও মামলায় বলা হয়েছে যে, পানিয়া জাতিভূক্ত মানুষ যে অসুবিধা সম্মুখীন হন, ওই পড়ুয়াও সেই অসুবিধা পেরিয়েছে। এছাড়াও যে পড়ুয়াকে ঘিরে এই সার্টিফিকেটের দাবি, সেই পড়ুয়া পানিয়া গোষ্ঠীর মানুষের সংস্কৃতি মেনেই বড় হচ্ছে। সদ্য ‘কেরল ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ, ট্রেনিং, অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করায় সে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।