Breast milk production: বুকের দুধ দান করেই বিশ্বরেকর্ড মহিলার! ৯ বছরে ক’হাজার লিটার দান করলেন তিনি

গিনিসের বিশ্বরেকর্ড মানেই নানারকম ক্ষেত্রে নতুন নতুন নজির গড়ার গল্প। সম্প্রতি তেমনই আরেক গল্প উঠে এল সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে। আমেরিকার এক মহিলার স্তনদুগ্ধ দানের নজির  অবাক করল তাবৎ বিশ্বকে। দুধ দান করার নিরিখেই বিশ্বসেরার শিরোপা জিতে নিলেন ওই মহিলা। সম্প্রতি সেই কারণে গিনিসের তরফে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় সেরার শিরোপাও।  প্রসঙ্গত, এলিজাবেথ অ্যান্ডারসন সিয়েরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অরেগাওয়ের আলোহার বাসিন্দা। দুই সন্তানের মা এলিজাবেথের দুধ খেয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে সময়ের আগে জন্মানো শিশুও। ২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার বুকের দুধ দান করে চলেছেন তিনি। ২০১৮ সালের ২০ জুন পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ দুধ দান করেছেন মিল্ক ব্যাঙ্কে।

আরও পড়ুন: সিগারেট খেলেই হাঁ করে চেয়ে থাকুন মুখের দিকে! কেন এই নির্দেশ জারি হল হংকংয়ে

আরও পড়ুন: মানুষের পক্ষে থাকাই মুশকিল! করাচি নিয়ে কেন এমন রিপোর্ট দিল খোদ পাক সংবাদমাধ্যম

সব মিলিয়ে কত লিটার দুধ অন্য শিশুদের দান করেছেন তিনি? অঙ্কটা জানলে রীতিমতো চমকে যাওয়া স্বাভাবিক। গিনিস বিশ্ব রেকর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ১৫৯৯.৬৮ লিটার দুধ অন্য শিশুদের খাওয়াতে দান করেছেন এলিজাবেথ। তবে এতেই থেমে থাকেননি। ২০১৫ সাল থেকে লাগাতার দুধ‌ দান করছেন তিনি। বর্তমানে সেই পরিমাণ ছাপিয়ে গিয়েছে দশ হাজার লিটার। গিনিস বুকের তরফে এলিজাবেথকে নিয়ে একটি ভিডিয়োও তৈরি করা হয়। সেই ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। এত পরিমাণ দুধ দান করার কারণ কী? এলিজাবেথ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা যথেষ্ট গুরুতর একটি বিষয়। সন্তান জন্মের পর মায়ের বুকে দুধ পরিমাণমতো না এলে শিশুর বেড়ে উঠতে সমস্যা হয়। তখন শিশুর ওটাই একমাত্র খাবার। তাই এখনও নিয়মিত দুধ দান করেন।

তাঁর কথায়, এই দুধ খেয়ে কত বাচ্চার উপকার হচ্ছে, তা এখন আর জানা সম্ভব নয়। এর পরেই এলিজাবেথ ফ্রিজে থরে থরে সাজিয়ে রাখা বোতলগুলি দেখান। প্রসঙ্গত, তাঁর দুধ উৎপাদনের হারও ভিডিয়োতে জানিয়েছেন তিনি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর শরীর দুধ উৎপাদন করতে শুরু করে বলেই জানান তিনি। তাঁর দুধ স্থানীয়দের জন্য দান করেন এলিজাবেথ। তবে এর পাশাপাশি সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শিশুদের কাছেও পৌঁছে যায় দুধ। এলিজাবেথের কথায়, তাঁর শরীর প্রচুর পরিমাণে প্রোল্যাকটিন হরমোন উৎপাদন করতে পারে। তাই দুধ উৎপাদনের হার এতটা বেশি।