ভোট-হিংসায় অভিযুক্ত TMC কর্মীকে জামিন না দেওয়ায় টানা ৫ দিন এজলাস বয়কট আইনজীবীদের

ভোটেগণার দিন গণনাকেন্দ্রে বিরোধী দলের এজেন্টদের ওপরে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মীকে জেল হেফাজতে পাঠানোয় টানা ৫ দিন ধরে বিচারকের এজলাস বয়কটের অভিযোগ বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে। যার জেরে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক অসীমানন্দ মণ্ডলের এজলাসে গত ৫ দিন ধরে বিচারের আশায় এসে ফিরে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিজেপির দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণের যে পরিকল্পনা করেছেন, তারই অংশ এই বয়কট।

গত ১১ জুলাই পঞ্চায়েতের ভোটগণনার দিন বুদবুদ মহাকালী বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে বিরোধী বিজেপি ও সিপিএম এজেন্টদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আহত হন ১২ জন বিরোধী এজেন্ট। যাদের মধ্যে ১০ জনই বিজেপির। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছেন রতন মণ্ডল নামে দুর্গাপুর আদালতের এক মুহুরি।

১২ জুলাই ধৃতদের আদালতে পেশ করলে রতনবাবুকে আদালতের কর্মী বলে জানিয়ে জামিনের আবেদন জানানো হয় বিচারপতি অসীমানন্দ মণ্ডলের এজলাসে। কিন্তু রতনবাবুর জামিন মঞ্জুর করেননি বিচারক। অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে রতনবাবুকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান তিনি। এর পরই অসীমানন্দ মণ্ডলের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় বার অ্যাসোসিয়েশন। ১৩ জুলাই থেকে লাগাতার তাঁর এজলাস বয়কট করে আসছেন সমস্ত আইনজীবী। যার জেরে বিচার চাইতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে।

এই ঘটনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাকে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, কোম্পানির মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছে বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করতে। তাই এরা ময়দানে নেমেছে।