National library: জাতীয় গ্রন্থাগার চত্বরে আবর্জনা ভর্তি, পরিষ্কার না করায় মামলা করল কলকাতা পুরসভা

বর্ষা শুরু হতেই রাজ্যে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু। শহরে এই মুহূর্তে ২২৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। গত এক মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এরফলে উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু মোকাবেলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুরসভা। এ নিয়ে পুরসভায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে। তাতে উপস্থিত ছিলেন ১৬ টি বরোর চেয়ারম্যানরা। এই অবস্থায় যাতে শহরের যত্রযত্র জল জমে ডেঙ্গুবাহী মশা বংশবিস্তার করতে না পারে তার উপরে জোর দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু, অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল লাইব্রেরি চত্বর ঠিকমতো পরিষ্কার রাখা হচ্ছে না। যার ফলে সেখানে জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গুবাহী মশা। অথচ ন্যাশনাল লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষকে তা পরিষ্কার করার জন্য একাধিকবার বলা হলেও কোনও উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় ন্যাশনাল লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুর আদালতের মামলা করল কলকাতা পুরসভা।

আরও পড়ুন: উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ৭০০-র বেশি, বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক

পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ন্যাশনাল লাইব্রেরি চত্বর ঠিকমতো পরিষ্কার না করার জন্য সেখানে সেখানে ডেঙ্গুবাহী মশা বংশবিস্তার করছে। পুরসভার কথা না শোনার জন্যই জাতীয় গ্রন্থাগারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার মুখ্য ভেক্টর কন্ট্রোল অফিসার দেবাশিস বিশ্বাস জানিয়েছেন, জাতীয় গ্রন্থাগারে যেখানে সেখানে নোংরা পড়ে রয়েছে। প্রায় ৭০ গাড়ি ময়লা পড়ে আছে। সেখানে পুরসভাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না আবার নিজেরাও পরিষ্কার করছে না। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। যদিও এমন অবস্থা শুধুমাত্র জাতীয় গ্রন্থাগারে নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক অফিস চত্বরও ঠিকমতো পরিষ্কার না করায় সেখানে জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গুবাহী মশার লার্ভা।

এ নিয়ে ফির হ্রদ হাকিমের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বরো চেয়ারম্যানরা। ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান জুঁই বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন, নিউ আলিপুরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে আবর্জনা ভর্তি রয়েছে। ওই ক্যাম্পে ১০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। মোট ৫৮ জন থাকেন ওই ক্যাম্পে। অথচ ক্যাম্প পরিষ্কার করতে দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ, সেখানে পরিষ্কার করতে গেলে বলা হচ্ছে দিল্লি থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। 

এছাড়া নিউ আলিপুরে ভারতীয় রেলের সাইডিংয়েও জল জমে মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও রেল জানিয়েছে দু বছরের আগে জল সরানো সম্ভব নয়। এই অবস্থায় অনুমতির অপেক্ষায় থাকলে কাজ হবে না বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, তড়িঘড়ি কাজ শুরু করতে হবে। রেলের সাইডিংয়ে মশা মারার লার্ভা স্প্রে করার নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ। পাশাপাশি তিন নম্বর বরোয় অবস্থিত কোল ইন্ডিয়ার অফিসেও একাধিক গাড়ি ভাঙা পড়ে রয়েছে। সেখানে জল জমে ডেঙ্গু মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় কোল ইন্ডিয়াকে নোটিশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। মেয়রের বার্তা ডেঙ্গু নিধনে কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।