India-China Border: চিনকে জবাব দিতে সীমান্তের পরিকাঠামো উন্নয়নে মন দিয়েছে ভারত, হিসেব দিলেন জয়শঙ্কর

সরকার সীমান্তের পরিকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত উপর ফোকাস করছে। গত ৯ বছরে সরকার এনিয়ে প্রচুর কাজ করেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিন যে কাজ করেছে তার জবাব দিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতও। সোমবার একথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় একথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। এদিকে সেই ২০২০ সালের এপ্রিল মে মাস থেকে চিন ভারত সীমান্তে সমস্যা প্রকট রূপ ধারণ করে। গালওয়ান সীমান্তে সংঘর্ষের জেরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছিল চিন-ভারত সীমান্তে। তবে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বার বারই বলে এসেছেন, ভারত-চিন সম্পর্ক কোনওদিনই স্বাভাবিক হবে না যতদিন না পর্যন্ত সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে না। 

এদিকে চিন সেই ১৯৯০ সাল থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় তাদের দিকে নানা পরিকাঠামো বৃদ্ধির কাজ করে। এদিকে বিগত সরকারের আমলে কিছু ত্রুটিপূর্ণ পদক্ষেপের জেরে ভুগতে হয় গোটা দেশকে। এমনটাই মনে করছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, চিনের দিকে পরিকাঠামো বৃদ্ধির জেরে তারা সহজেই পেট্রলিং করতে পারত।

অন্যদিকে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তিনি জানিয়েছেন, অতীতে চিনের বাহিনী গাড়িতে করে আসত আর আমাদের বাহিনী যেত খচ্চরের পিঠে চেপে। এখন আমরা বিরাট বাহিনীকে সীমান্তে মোতায়েন করতে পারি তার একটা বড় কারণ হল সেখানকার পরিকাঠামো বৃদ্ধি করা হয়েছে। চিন দ্রুত গতির সুবিধা পেয়েছে, আর আমরা যেটা প্রয়োজন সেটা করছি। সেটা তাদের পছন্দ বা অপছন্দ যাই হোক না কেন। জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। 

জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ২০১৩-১৪ সালে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের বার্ষিক বাজেট ছিল ৩,৭৮২ কোটি টাকা। আর ২০২৩-২৪ সালে সেটাই বেড়ে হয়েছে ১৪,৩৮৭ কোটি টাকা। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের পরে ভারতের সেনা মোতায়েন করা ও চিনের গতিবিধি কি রোধ করতে সক্ষম? জয়শঙ্করের জবাব, একদম, এনিয়ে কোনও প্রশ্নই হবে না। 

তিনি জানিয়েছেন ২০২০ সালে ভারতের সেনা দ্রুত সীমান্তে চলে গিয়েছিল কারণ সেখানকার পরিকাঠামো অনেক উন্নত হয়ে গিয়েছে। তবে ২০১৪ সালে যদি এটা হত তবে আমাদের অনেক সমস্যা হত। তারা পরিকাঠামো উন্নত করেছে কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। 

২০১৪-২২ এর মধ্য়ে ৬৮০৬ কিমি রাস্তা সীমান্ত এলাকায় তৈরি হয়েছে। আর ২০০৮-১৪ সাল পর্যন্ত মাত্র ৩৬১০ কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছিল সীমান্তে।