Exclusive: BJP – TMC-র হাত ধরে বোর্ড গড়লেই দল থেকে বহিষ্কার, জানালেন CPIM নেতা সুজন চক্রবর্তী

পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে জেলায় জেলায় খেল দেখাচ্ছে বিরোধী জোট। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তো তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীকে ভাঙিয়ে এনে পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি – সিপিএম জোট। কিন্তু এই প্রবণতা দল বরদাস্ত করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। স্পষ্ট জানালেন, বিজেপি বা তৃণমূলের হাত ধরলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে সেই ব্যক্তিকে।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিজেপি – সিপিএম একজোট হয়ে পঞ্চায়েত দখল করেছে। বেশ কিছু জায়গায় সলতে পাকাচ্ছে তারা। কিন্তু এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, বিজেপির হাত ধরলে কি সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে দলীয় নেতৃত্ব? এব্যাপারে দলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সুজনবাবু।

বৃহস্পতিবার হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেন, বিজেপির হাত ধরে পঞ্চায়েত দখল কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবে না দল। যারা এই কাজ করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে দল উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। দলীয় সদস্য হলে তাঁকে বহিষ্কার করা হবে।

তিনি জানান, মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরের রুইপুকুর পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূলের হাত ধরে বোর্ড গঠন করায় সিপিএম সদস্যদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বলে রাখি, গত নভেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে জোট করে একটি সমবায়ে লড়ে সমস্ত আসন জেতে বাম – বিজেপি জোট। যদিও এই জোটের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলে দাবি করেছিল স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব। তার পরেও জেলায় ১২ জন সদস্যকে বহিষ্কার করে সিপিএম।

এব্যাপারে বিজেপির প্রতিক্রিয়া, এতে স্পষ্ট, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার সদিচ্ছা নেই সিপিএমের। একে বিভিন্ন জায়গায় জয়ী সিপিএম প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগদান করছেন। যারা সাহস করে আমাদের সঙ্গে জোট বেঁধে তৃণমূলের বিরোধিতা করছে তাদের বহিষ্কার করছে নেতৃত্ব। এভাবে নিজেদের দলকে নিজেরাই অবলুপ্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন সিপিএম নেতারা।