Jadavpur Student Death: র‌্যাগিংয়ের অভিযোগই জোরাল হচ্ছে? হস্টেল বারান্দা থেকে উদ্ধার গেঞ্জি, হাফ প্যান্ট

যাদবপুরে প্রথমবর্ষের ছাত্র মৃত্যুতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগই ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। মেন হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি নীল রঙের হাফ প্যান্ট এবং গেঞ্জি। ওই বারান্দা লাগোয়া ৬৮ নম্বর ঘরে থাকতেন মৃত ছাত্র। উদ্ধার হওয়া পোশাকগুলি তারই বলে দাবি করেছেন এক পড়ুয়া। তার দাবি যদি সত্যি হয় তবে পুলিশে কাছে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগের সাপেক্ষে আরও তথ্যপ্রমাণ হাতে এল।

গত ৯ অগস্ট হস্টেলের নীচ থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার হয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের দেহ। বারান্দা থেকে তিনি পড়ে যান বলে পড়ুয়াদের দাবি। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ভাবে বিবস্ত্র অবস্থা তাঁকে উদ্ধারের পরই র‌্যাগিং তত্ত্ব জোরাল হয়। এই ঘটনায়, এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতিও মিলেছে। শুক্রবার এক ছাত্রকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণও করা হয়।

(পড়তে পারেন। JU Student Death: দারিদ্রকে হারিয়ে দিয়েছিল মেধা, গ্রেফতার সত্যব্রতর বাবা-মায়ের দু’চোখে শুধু আঁধার)

এবার গ্যাঞ্জি ও হাফ প্যান্ট উদ্ধারে আরও কিছু প্রশ্ন উঠে এল। তবে কি বারান্দা থেকে পড়ার আগে ছাত্রটিকে বিবস্ত্র করা হয়েছিল? নাকি দাদদের চাপে পড়ে নিজেই বিবস্ত্র হয়েছিলেন?পোশাকগুলি বারান্দা থেকে উদ্ধার হয়েছে। ওই পোশাকগুলি বারান্দা এল কী করে তাও জানার চেষ্টা করছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানাচ্ছে, এস প্রশ্নের উত্তর মিললে রহস্য উদঘাটন অনেকটা সুবিধা হবে। র‌্যাগিং হয়েছিল কি না, হলে তা কী ভাবে হয়েছিল তা স্পষ্ট হবে এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া পর।

(পড়তে পারেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ, ছাত্রের ঘরে প্রস্রাব করে মদ্যপানে চাপ)

ঘটনার পরপরই তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করে। এর পর শুক্রবার আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হেফাজতে রেখে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে, হস্টেলে তল্লাশিতে যায় পুলিশ। সেখানেই পোশাক উদ্ধার হয়।