এই সিনেমার গল্প আমার জীবনের সাথে মিলে যায়: ফারিণ

লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ সম্পর্কে কম-বেশি সবারই জানা। এ ধরণের সম্পর্কে দূরত্বের কারণে মাঝে মাঝে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা, সন্দেহ ও ক্ষোভ। এমনই এক দূরবর্তী প্রেমের গল্প নিয়ে শিহাব শাহীন নির্মাণ করেছেন ওয়েব সিনেমা ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’।

প্রীতম হাসান ও তাসনিয়া ফারিণকে নিয়ে এটি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন।

নির্মাতা বলেন, ‘জীবনে অসংখ্য প্রেমে গল্প বানিয়েছি। কিন্তু এবারের গল্প বলতে গিয়ে নতুন কিছু অনুভূতি হয়েছে। এটা একদম নতুন গল্প। যদিও প্রতিটি কাজেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা হয়। দূরত্ব ভালোবাসার ওপর কীভাবে স্ট্রেস দেয়, কীভাবে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি করে, তা এই সিনেমায় থাকবে। যারা প্রবাসে থাকেন তারা এটা ভালো ধরতে পারবেন। এটা একটা স্পর্শের গল্প।’

‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’-এর শুটিং হয়েছে বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়া মিলিয়ে। দেশের বাইরে পুরো ইউনিট নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে পরিচালক বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার শুটে যারা জড়িত ছিল সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। তারা ছাড়া কাজটি করা কঠিন হতো। আমরা রাজশাহীতেও কাজ করেছি। সেখানকার সবাইও ভালোবাসা-ভালোলাগা থেকে আমাদেরকে সাহায্য করেছেন। রাজশাহী ও অস্ট্রেলিয়ার দুই জায়গাতে প্রেমের গল্প বলার মতো দারুণ জায়গা পেয়েছি।’

সিনেমার মূল চরিত্রে দেখা যাবে তাসনিয়া ফারিণকে। সদ্য বিবাহিত এই অভিনেত্রী জানান এই সিনেমার গল্পের সাথে নাকি তার জীবনের অনেকখানি মিল রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই সিনেমার গল্প আমার জীবনের সাথে অনেকখানি মিলে যায়। আমার আর আমার হাজবেন্ডের লং ডিসটেন্স রিলেশন ছিল। তাই নিজের সঙ্গে কানেক্ট করে কাজ করতে ভালো হয়েছে। সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম শারমিন। সে অতীতের সম্পর্কে নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়েছিল। তবে ফারহানের সঙ্গে মিট করার পর দারুণ কিছু হয়।’

‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ সিনেমার সঙ্গে কিভাবে যুক্ত হলেন এমন প্রশ্নে প্রীতম হাসান বলেন, ‘শিহাব ভাই (পরিচালক) একদিন হঠাৎ ফোন দিয়ে জানালেন তার কাছে একটা গল্প আছে। তারপর ভাইয়ের সাথে বসে স্ক্রিপ্ট দেখার পর আমি শিওর হয়েছি কাজটা করতে চাই। খুব সুন্দর স্টোরি লাইনের সিনেমা এটা।’

এই সিনেমায় নিজের চরিত্র নিয়ে প্রীতম বলেন, ‘আমি এখানে রুয়েটের একজন স্টুডেন্টের চরিত্র করেছি। একটা ট্রমাটিক ও হার্ডশিপ চাইলডহুড নিয়ে বড় হয় ছেলেটি। সে বেশ রুক্ষ আর অনেক কিছু সম্পর্কে তার জানা নেই। তবে প্রথমবার প্রেমে পড়ে অনেক কিছুই বদলে যেতে থাকে তার জীবনে।’

চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘শিহাব ভাই চরকির জন্য এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জনরার বেশকিছু কনটেন্ট নির্মাণ করেছেন। তবে এই প্রথম তিনি চরকির জন্য রোমান্টিক জনরার সিনেমা নির্মাণ করছেন। তিনি রোমান্টিক জনরার কনটেন্ট দিয়ে এরই মধ্যে দর্শকের মনে অন্য একটা স্থান করে নিয়েছেন। আশা করছি, এই কাজটি দিয়ে ভাই দর্শকের মাঝে আবার ঝড় তুলবেন।’

শুটিংয়ে দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন শিহাব শাহীন বলা দরকার, ভিন্নধর্মী শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গত ৩ আগস্ট এক জমকালো অনুষ্ঠানে চরকি ঘোষণা দেয় ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ নামের একটি প্রজেক্ট তৈরির। যেখানে ১২ জন জনপ্রিয় নির্মাতার ১২টি ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাচ্ছেন। এই পুরো প্রজেক্ট এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তারই অংশ হিসেবে নির্মিত হলো ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’।