Fact check: Reynolds কি বন্ধ করে দিচ্ছে তাদের আইকনিক 045 বলপেন

রেনল্ডস ০৪৫ ফাইন কার্বুর, এই পেনটির সাথে আমাদের সকলেরই কমবেশি পরিচয় নিশ্চয়ই রয়েছে। বিশেষ করে ১৯৯০ বা ২০০০ সালে যাদের জন্ম, সেসকল ছাত্রছাত্রীর কাছে রেনল্ডসের এই অতি সাধারণ কলমটির জুড়ি মেলা ভার। বর্তমান দ্রুত বদলের সময়ে হারাচ্ছে পুরোনো বহু কিছুই। আমরা আজ পেন পেনসিল কাগজের বদলে চোখ রেখেছি ডিজিটাল স্ক্রিনে। তাহলে কি হারিয়ে যেতে বসেছে রেনল্ডসের এই সস্তার টেকসই মডেলটিও? এই গুজবই রটে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।

ফেসবুকের একটি জনপ্রিয় পেজ ‘নাইনটিস কিড’ তাদের পোস্টে শেয়ার করেছে রেনল্ডস-এর আইকনিক বলপেন ০৪৫ বন্ধ হতে চলেছে। রেনল্ডস ০৪৫ ফাইন কার্বুর পেন বিখ্যাত তার সস্তা দাম এবং টেকসই গঠনের জন্য। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেও পেনের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে একইভাবে জনপ্রিয় থেকেছে রেনল্ডসের এই সাধারণ কলমটি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারেও এই কলমের দশটির প্যাকের মূল্য মাত্র ৬৯ টাকা। অর্থাৎ, প্রতিটি কলমের দাম সাত টাকারও কম। কলমের বাজারে বহু মডেলই আসে যায় কিন্তু, কিছু কিছু মডেল সস্তা এবং ভালো মানের কারণেই দীর্ঘদিন মানুষের মনে দাগ কেটে যায়, তেমনি একটি মডেল রেনল্ডস ০৪৫ ফাইন কার্বুর।

 

কিন্তু হঠাৎ করেই কলমটি নিয়ে গুজবের কারণ কী? ‘নাইনটিস কিড’ নামক জনপ্রিয় টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছিল যে, রেনল্ডস আইকনিক বল পেনটি তৈরি বন্ধ করে দিয়েছে। পোস্টে লেখা হয়েছিল, ‘রেনল্ডস ০৪৫ ফাইন কার্বুর আর বাজারে পাওয়া যাবে না, শেষ হল একটা যুগের…’ । এমনই মর্মস্পর্শী পোস্ট নেটদুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বহু মানুষই তা বিশ্বাসও করে নেন। পোস্টটি মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে ১.৮ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে। গুরুত্বপূর্ণভাবে অতীতে এই কলমের ব্যবহারকারীরা নস্টালজিয়ার ভর করে এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন।

কোনও কোনও এক্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী এমনও লিখেছেন যে, তারা এই কলমটি শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই দোকান থেকে সংগ্রহ করবেন। অন্য এক নেটনাগরিক মন্তব্য করেছেন, ‘ আমি এখনও এটি ব্যবহার করি। আমার অফিসের জন্য ১৫ টি কলম অর্ডার করেছি।’ অন্য এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এটি ভারতের জাতীয় কলম হওয়া উচিত।’ স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের নস্টালজিয়ায় দাগ কেটে গেছে ভাইরাল হওয়া পোস্টটি। তবে বাস্তবেই রেনল্ডসের এই টেকসই এবং সস্তার কলমটি বাজার থেকে অদৃশ্য হচ্ছে কিনা এই বিষয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে অফিসিয়ালি জানানো হয়েছে, এমন কোনো পরিকল্পনা এই তাদের। ভাইরাল পোস্টগুলি গুজব ছাড়া কিছুই নয়, বিবৃতি জারি করেছে কোম্পানি।

 

 

 

 

 

 

এরপরেই হাঁপ ছেড়েছেন অনেকে। হয়তো আগের মতো আর বলপেন দিয়ে লেখা হয় না, কিন্তু যেভাবে ক্লাসে তাড়াতাড়ি নোটস নেওয়ার জন্য এই পেন ব্যবহার করা হত, তার স্মৃতি সত্যিই ভোলা কঠিন।