‘‌এই মামলা মিউজিক্যাল চেয়ারে পরিণত হতে পারে’‌, শুনানিতে মন্তব্য বোর্ডের আইনজীবীর

সংরক্ষিত আসনে টেট পাশের নম্বর ঠিক কত? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে দুই বিচারপতির মতান্তরে তৃতীয় বেঞ্চে মামলা যায়। আজ, বুধবার সেই মামলার শুনানি শেষ। আপাতত রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চে আজ বুধবার সেই মামলার শুনানি শেষ হয়। ৮২ না ৮৩—এই নম্বর নিয়েই মতান্তর দেখা গিয়েছিল। তবে টেটের পাশ মার্ক মামলার শুনানিতে আবার উঠে এল চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকারের প্রসঙ্গ।

এদিকে টেট মামলার শুনানিতে প্রাইমারি বোর্ডের আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত বলেন, ‘‌এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মামলা মিউজিক্যাল চেয়ারে পরিণত হতে পারে। ঠিক এই অবস্থা ববিতার ক্ষেত্রেও হয়েছিল। প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার জায়গায় আদালতের নির্দেশে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর এবং মেরিট লিস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। এসএসসি’‌র মেরিট লিস্টে ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৭৭। লিখিত পরীক্ষায় ৩৬, অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩, মৌখিক পরীক্ষায় ৮— মিলিয়ে ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৭৭। ববিতার আবেদনের ফর্মে দেখা যায়, স্নাতক স্তরে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ নম্বর পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২ নম্বর বেশি দেওয়া হয়। পরে তাঁর বদলে চাকরির দাবিদার হন অনামিকা রায়। যদিও বিচারপতি শুনানিতে স্পষ্ট বলে দেন, ‘‌দুটো বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা।’‌

অন্যদিকে সওয়াল জবাব চলাকালীন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, ‘‌এনসিটিই বলছে ৮২ পেলেই পাশ। রাজ্য কমিশনও একই কথা বলছে। তবে এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা কী?’‌ আগে টেট পরীক্ষায় সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশ নম্বর ধার্য ছিল। মোট ১৫০ নম্বরে হয়েছিল সেই পরীক্ষা। ফলে ৮২.৫ নম্বর পেলেই পাশ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে দুই বিচারপতি ভিন্ন মত পোষণ করেন।

আরও পড়ুন:‌ সন্তানদের খুন করে ফেলব, হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ, কুলতলিতে গ্রেফতার

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ তারপর বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে দাবি করেন, ৮২ পেলে পাশ করানো যাবে না। পাশের মার্কস ৮৩ ধরা হোক। ততক্ষণে ৮২ পেয়েছেন এমন ১০ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে টেটে সফল হিসাবে ইন্টারভিউও দিয়ে দেন। তার মধ্যেই এই মামলা ডিভিশন বেঞ্চে অমীমাংসিত থাকে। তখন মামলা যায় তৃতীয় বেঞ্চে। আজ, বুধবার এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে।