India slams Pak: ‘স্বভাবে পরিণত হয়েছে’, রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাক প্রধানমন্ত্রীকে ‘ধুয়ে দিলেন’ ভারতীয় কূটনীতিক,দেখুন ভিডিয়ো

জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলানোর স্বভাব ছাড়তে পারেনি পাকিস্তান। এই আবহে সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ফের এই ইস্যু উত্থাপন করেছিলেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার উল হক কাকর। তাঁর বক্তব্য ছিল, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে মূল ইস্যু হল কাশ্মীর। তাঁর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পালটা জবাব দিয়েছে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করে ভারত বলে, ‘বারবার একই অপরাধ করা পাকিস্তানের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।’

রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার দ্বিতীয় কমিটির জন্য নিযুক্ত ভারতের প্রথম সচিব পেতল গেহলট গতকাল পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার চালানোর জন্য এই ফোরামকে অপব্যবহার করছে পাকিস্তান। এই অপরাধ করা পাকিস্তানের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশ এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক সংগঠন ভালোভাবেই জানে যে পাকিস্তান মানবাধিকার রক্ষার ইস্যুতে ডাহা ফেল। তাদের অপ্রীতিকর রেকর্ড থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ সরিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সরব হয় পাকিস্তান। আমরা অবশ্য আরও বলতে চাই যে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও অধিকার পাকিস্তানের নেই।’

উল্লেখ্য, বিগত সাড়ে সাত দশক ধরে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভেদ রয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারংবার ভিত্তিহীন অভিযোগ করে এসেছে পাকিস্তান। এদিকে জঙ্গিদের সাহায্য করার জন্য পাকিস্তানকে তোপ দেগে এসেছে ভারত। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলা এবং সে বছরেরই অগস্টে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্র্যাহারের পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে। তবে দিল্লির সাফ কথা, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের নাক গলানোর কোনও অধিকারই নেই। গত জুন মাসেই বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর এই নিয়ে বলেছিলেন, ‘ভারত নিজেদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখে। তবে পাকিস্তান সেই ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম। আমরা সন্ত্রাসবাদকে মেনে নিতে পারি না। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ কোনও ভিত্তি হতে পারে না।’ ভারতের স্পষ্ট বার্তা, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে তার জন্য পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পথ ছাড়তে হবে।