Indian Students in Israel: হামাসের হাতে বন্দি ১৭ নেপালি, ইজরায়েলে কেমন আছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা?

ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের লড়াইয়ের আবহে বিপাকে পড়েছেন সেদেশে থাকা বিদেশি পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে, হামাসের হামলায় এখনও পর্যন্ত ৭ জন নেপালি পড়ুয়া আহত হয়েছেন সেদেশে। এদিকে ১৭ জন নেপালি নাগরিক হামাস জঙ্গিদের হাতে বন্দি হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। এরই মাঝে ভারতীয় পড়ুয়ারাও আতঙ্কে রয়েছেন ইজরায়েলে। তবে সংবাদসংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইজরায়েলে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রেখে চলেছে। এদিকে যুদ্ধের আবহে এয়ার ইন্ডিয়া তেল আভিভ থেকে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশে ফেরার কোনও পথ খোলা নেই ভারতীয় পড়ুয়াদের কাছে। (আরও পড়ুন: ‘আমাদের জবাই করা হচ্ছে’, ইজরায়েলে প্রাণ গেল ৩০০ জনের, জবাবি হামলায় গাজা ভূখণ্ডে মৃত ২৩০)

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে গোকুল মানাবালন নামক এক ভারতীয় পড়ুয়া এই নিয়ে বলন, ‘আমি খুবই ভয়ে আছি। অবশ্য ইজরায়েলের পুলিশ বাহিনী কাছেই টহল দিচ্ছে। তাই আমরা আপাতত নিরাপদে আছে। ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে আমরা কথ বলেছি। আমাদের এখানে আশেপাশে আরও ভারতীয় থাকেন। আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি।’ এদিকে বিমল কৃষ্ণস্বামী চিত্র নামক আরও এক পড়ুয়া বলেন, ‘আমরা কয়েকজন ছাত্র একসঙ্গে আছি। ভারতীয় দূতাবাস আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। আমরা কেমন আছি, তার খোঁজ নিচ্ছে ভারতীয় দূতাবাস।’ অপর এক পড়ুয়া আদিত্য করুণানিধি নিবেদিতা বলেন, ‘সবকিছুই খুব আচমকা হল। আমরা এমনটা প্রত্যাশা করিনি। তবে সকাল সকাল আমরা সাইরেনের আওয়াজ শুনে উঠে পড়েছিলাম। আমরা ভয় পেয়ে যাই। আমরা প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা বাঙ্কারে ছিলাম।’

প্রসঙ্গত, ইজরায়ের-প্যালেস্তাইন সংঘাত বহু দশকের। ইজরায়েল গঠনের পর থেকেই অস্তিত্ব হারিয়েছে প্যালেস্তাইন। তারই মধ্যে পশ্চিমে গাজা ভূখণ্ডে ‘বন্দি দশায়’ বসবাস করেন প্যালেস্তাইনের বাসিন্দারা। এদিকে প্যালেস্তাইনকে ইজরায়েলের হাত থেকে ‘মুক্ত’ করতে এর আগেও একাধিকবার সশস্ত্র আন্দোলন করেছে বিভিন্ন গোষ্ঠী। এই আবহে এবার ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা করে নতুন করে যুদ্ধের আবহ তৈরি করল প্যালেস্তাইনের হামাস। গতকাল সকালে হামাসের পরপর রকেট হামলার পর সরকারিভাবে ইজরায়েলের তরফ থেকে সরকারি ভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এই আবহে ইজরায়েলের প্রত্যাঘাতে গাজা ভূখণ্ডে তড়তড়িয়ে বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। গতরাতে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩০। জখম হয়েছেন অন্ততপক্ষে ১৬০০ জন। গতরাতে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০০ হয়েছে ইজরায়েলে।