Dengue death in Kolkata: ডেঙ্গিতে মারা গেল ২ মাসের শিশু, এবার সবথেকে কম বয়স্ক মৃত্যু তিলজলার রুকশার

রাজ্যে এখন বৃষ্টি নেই। তারপরও ডেঙ্গি আক্রান্ত কিছুতেই কমছে না। প্রতিদিন বেড়েই চলছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। আর সেইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু। এবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দু’মাসের এক শিশুর। পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার সময় শিশুটির মৃত্যু হয়। গত ১৪ অক্টোবর শিশুটি মারা যায়। ওই শিশুর নাম রুকশার আলি। এ বছর ডেঙ্গিতে এই প্রথম এত কম বয়সি শিশুর মৃত্যু হল বলেই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। 

আরও পড়ুন: পুজোর সময়ও চিন্তা ডেঙ্গি নিয়ে, ‘রেকর্ড’ আক্রান্ত গার্ডেনরিচে, উত্তর কলকাতায় কম

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশু তিলজলার বাসিন্দা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর জ্বর ও কাশি নিয়ে শিশুকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির মধ্যে ডেঙ্গির কোনও লক্ষণ ছিল না এবং যেহেতু অল্প বয়সি তাই সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম ছিল। প্রথমে শিশুকে পেডিয়াট্রিক জেনারেল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে তার বেশ জ্বর থাকায় ডেঙ্গি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। 

শিশুর ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হয়। ভর্তির তৃতীয় দিনে পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, শিশুটি ডেঙ্গি পজিটিভ। তার অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। এরপর শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য পিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বায়ু চলাচল এবং অন্যান্য চিকিৎসা সহ সমস্ত সহায়তা সত্ত্বেও শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাইপোটেনশন, রক্তপাত এবং মাল্টি-অর্গান ডিসফাংশন সিন্ড্রোম সহ বেশ কয়েকটি জটিলতা তৈরি হয়েছিল শিশুটির মধ্যে। অবশেষে শনিবার শিশুটি মারা যায়। শিশুর ডেথ সার্টিফিকেটে সিভিয়ার ডেঙ্গি উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে শুধুমাত্র কলকাতা পুরসভায় এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ১৭ জনের।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণত অল্পবয়সি শিশুদের মধ্যে এমন তীব্রতার ডেঙ্গি খুবই বিরল। কারণ শিশুদের শরীরে এমনিতেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। শিশুর বাবা মহম্মদ পারভেজ তিলজলা এলাকায় একটি পানের দোকান চালান। তিনি জানান, ছেলেটির প্রায় দুই দিন ধরে জ্বর ছিল। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী প্রাথমিকভাবে একজন স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন তিনি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তারপরে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে শিশুকে ভর্তি করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে কম বয়সি শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গির শিকার হয়েছিল নয় মাসের এক শিশু। গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি কলকাতার ডা: বিসি রায় পোস্টগ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ পেডিয়াট্রিক সায়েন্সে মারা গিয়েছিল ওই শিশু। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,  তিলজলা-তপসিয়া-পার্ক সার্কাস এলাকায় সব সময় ডেঙ্গি বেশি থাকে। বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী, তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে ডেঙ্গির সংক্রমণও কমে যাবে।