Sikkim National Highway Latest Update: ১৭ দিন পর অবশেষে পুজোয় খুলল সিকিমের জাতীয় সড়ক নং ১০, তবে এখনও জারি কাজ

ফের একবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে সিকিম। বন্যায় বিধ্বস্ত রাজ্যটি কয়েকদিন আগেও বাকি দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। দ্রুত গতিতে কাজ করে কিছু রাস্তা অবস্য চালু করেছিল সেনা। তবে ১৭ দিন বন্ধ ছিল জাতীয় সড়ক নম্বর ১০। অবশেষে সপ্তমীর সকালে চালু হল জাতীয় সড়ক নম্বর ১০। উল্লেখ্য, বাংলা–সিকিমের লাইফলাইন এই হাইওয়ে। কারণ গ্যাংটক এবং শিলিগুড়ির মধ্যে যোগাযোগকারী রাস্তা এটাই। এই জাতীয় সড়ক মেরামতির কাজ অবশ্য সম্পন্ন হয়নি। এখনও আগের অবস্থায় ফেরাতে জাতীয় সড়ক নম্বর ১০-এ কাজ চলছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, তিস্তা থেকে শেঠিঝোরা পর্যন্ত পুনরায় চালু করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই রাস্তায় আবার গাড়ি চলাচল শুরু করার ফলে সুবিধা হবে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটকদের। তবে এখনই এই রাস্তায় বড় গাড়ি চলতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এবং আপাতত এই জাতীয় সড়কের একটিমাত্র লেনই খোলা থাকবে। সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ওই রাস্তায় গাড়ি চলতে পারবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ছোট এবং হালকা যানবাহনগুলি শিলিগুড়ির দিকে রংপো, মেল্লি, তিস্তা সেতু থেকে সেঁথিঝোড়া যাওয়ার সময় একটি লেনে এগিয়ে যেতে পারবে। এই আবহে বাংলার যে পর্যটকদের সিকিমে যাওয়ার কথা আছে, তারা এবার অনায়াসে যেতে পারবেন নিজেদের গন্তব্যে।

গত ৪ অক্টোবর হড়পা বানের জেরে প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল সিকিম। বাকি দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল সিকিম। সিলিগুড়ি থেকে তিস্তা বাজার হয়ে সিকিমে প্রবেশ করতে হলে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যেতে হয়। গত ৪ অক্টোবরের হড়পা বানে এই রাস্তাটি ধুয়ে গিয়েছিল। এই আবহে এই রাস্তাটি ফের চালু করার জন্য জোর কদমে মেরামতির কাজ শুরু হয়। কাজ এখনও চলছে। তবে আংশিক ভাবে শর্তসাপেক্ষে রাস্তাটি খুলে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সরকারি হিসেব অনুযায়ী, সিকিমে হড়পা বানে ৯ সেনা সহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০-এর বেশি। এখনও নিখোঁজ শতাধিক। প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। ২৮টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৬৮০০-র বেশি মানুষ। ৬৩ জন বিদেশি সহ হাজার হাজার পর্যটককে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয় বিগত ২ সপ্তাহে। হড়পা বানে ভেসে গিয়ে অনেকেরই দেহ পশ্চিমবঙ্গ, এমনকী বাংলাদেশে পৌঁছে গিয়েছে।